বিজেপি কর্মীদের দেওয়া ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনী’কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙ্গায়। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গুরুতর আহত তিন জন। এদের মধ্যে একজন বছর তেরো বয়সের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের ‘গুলি’ চালনার অভিযোগ তুলে আহতদের নিজেদের সমর্থক বলে দাবী করা হয়েছে। আহত ওই তিন জনের নাম সৌমেন বাউরী (১৩), তাপস বাউরী ও টুলু খাঁ।
প্রত্যেকের বাড়ি স্থানীয় হাটকৃষ্ণনগর গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশাল পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। আহত তিন জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছ। শনিবার বিকেলে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পাত্রসায়রে দলের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ সেরে ফিরে যান। বিজেপির অভিযোগ, সেই সভায় বাইরে থেকে প্রচুর লোক জমায়েত করেছিল তৃণমূল। তাদের মধ্যে কয়েক জন দুস্কৃতি ছিল বলেও অভিযোগ বিজেপির।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বাইরে থেকে আসা দুস্কৃতি দলটি বিজেপির পাত্রসায়র মণ্ডল-২ সভাপতি তমাল কান্তি গুঁই এর দোকানে হামলা চালালে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করেন। তখন পুলিশ বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় বলে বিজেপির অভিযোগ। বিজেপি নেতা অমর শাখা হাতে গুলির খোল নিয়ে দাবী করে বলেন, এই গুলি পুলিশ চালিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই যান সেখানেই অশান্তি তৈরী করেন। পাত্রসায়র এলাকার বিজেপি কর্মী অনুপ ঘোষ আরো দাবী করেন, শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ির সামনে ‘জয়শ্রীরাম’ ধ্বনী দেওয়ার অপরাধে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তাতেই এই তিন জন গুরুতর আহত।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবী এই ধরণের ঘটনার কথা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।