রাজ্যের “প্রায় লকডাউন”-এর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল। তাদের মতে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ। তবে কেউ কেউ বলছেন, এর ফলে মানুষের পকেটে টান পড়বে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু খারাপ যেমন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার চাইতে ভালো হবে অনেক বেশি। কারণ অর্থের চাইতে মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি, সেটা বাঁচবে। তাই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।
এই প্রসঙ্গে পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্রর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, “আমরা এটা চাইছিলাম। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যে জায়গায় চলে গেছে সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে বললে ভুল হবে না। সেই দিক থেকে বলতে গেলে মানুষের জীবনের স্বার্থে রাজ্য সরকার ১৫ দিনের জন্য যে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সেটাতে ভালোই হবে।”
কেন রাজ্যের “প্রায় লকডাউন”কে চিকিৎসকরা সমর্থন করছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত মিত্র বলেন, “রাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালে মোট চিকিৎসার উপযোগী ২৫০০ থেকে ৩০০০ বেড আছে। রোজ যে ভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে এর পর আর হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যেত না। পুরো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ত। সেদিক থেকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”
তবে এই প্রায় লকডাউনের ফলে শুধু যে ভালো হচ্ছে সেটা নয়। কিছু মন্দ প্রভাবও পড়বে বলে চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্র জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গণপরিবহন ব্যবস্থা পুরো বন্ধ থাকার ফলে হাসপাতালে রোগীরা আসতে পারবেন না। এছাড়াও করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। কেননা মানুষ টিকা কেন্দ্রে আসতে পারবে না। তাই সমস্যা হবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে আমাদের কাছে রোগীরা এলে আমরা কাউকে ফেরাব না।”
এই বিষয়ে চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “সরকার যথেষ্ট ভালো ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকারের এই নির্দেশিকা যাতে কার্যকর হয় সেই দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা কিছুদিন আগে রাজ্যের তরফে সকাল সাতটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখার কথা বলা হলেও দশটার পরেও বাজার খোলা ছিল। সেটা যদি এবার হয় তাহলে নির্দেশিকা দিয়েও কিছু হবে না।”