রাজ্য জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা। এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। মৃত ব্যক্তি বিজেপির সক্রিয় কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
দিনদুপুরে তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মনোজ জয়শোয়াল। তাঁর বয়স বিয়াল্লিশ। বাড়ি কলকাতা হলেও ব্যবসায়িক কারণে বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জগধারীপাড়া এলাকায় থাকতেন তিনি। বাড়িতে একা থাকতেন তিনি। রান্না করার জন্য গোলক চন্দ্র মাল নামে একজন কেয়ারটেকার রয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই ব্যবসায়ী। তারপর আর ফেরেননি বলে অভিযোগ। দুপুরের দিকে নলহাটি–মুরারই রাস্তায় মধুরা গ্রামে যাওয়ার পথে ক্যানেলের ধারে দুষ্কৃতীরা তাকে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রাণের ভয়ে মৃত মনোজের চালক সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চায়নি।তবে গোলক বলেন, “সকালে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলেন দুপুরের রান্না করতে হবে না। সেই মতো আমি নিজের জন্য রান্না করেছিলাম। বিকেলের দিকে মৃত্যু সংবাদ আসে”।
একসময় তৃণমূলের সমস্ত অনুষ্ঠানে মনোজ জয়শোয়ালকে দেখা যেত। তিনি তৃণমূলের নলহাটি শহর সভাপতি পিন্টু সিংহের খুব ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভোটের কিছু দিন আগে তৃণমূল ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।
যদিও এই ঘটনায় রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নলহাটি ১ নম্বর ব্লক সভাপতি অশোক ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি এমন কিছু বড় নেতা নন যে তাকে খুন করবে তৃণমূল। তাছাড়া তৃণমূল খুনের রাজনীতি করে না। ওনার ব্যবসা অনেক রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক”।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “মনোজ তৃণমূলের সামনের সারির নেতা ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপি প্রার্থী আনন্দ যাদবের হয়ে ভোট করেছিল। সেই আক্রোশেই তাকে দিনের বেলা পিটিয়ে খুন করা হল। নলহাটি এলাকায় এই জঘন্য খুনের রাজনীতি পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করছে বিজেপি। সঠিক তদন্ত করা হলে খুনের রহস্য বেরিয়ে আসবে।