একশ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ হুগলী জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ জেলা প্রশাসনের।
কেন্দ্রীয় গ্ৰামোন্নয়ন দপ্তর থেকে গত ২২-২৪শে জানুয়ারি হুগলী জেলার কয়েকটি পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের সমীক্ষা হয়। চারটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতে কাজের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন তাঁরা। এর পরই রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে টাকা ফেরত চায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।
হুগলীর পোলবা দাদপুর ব্লকের রাজহাট, সাটিথান, ধনিয়াখালীর বেলমুরি পঞ্চায়েত এবং বলাগড়ের সোমরা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট তিন কোটি আট লক্ষ টাকার অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও ও প্রকল্প আধিকারিককে টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে একশ’ দিনের কাজ নির্মাণ সহায়করা দেখাশোনা করেন।তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
এর ফলে হুগলী জেলার সব নির্মাণ সহায়করা মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবি মৌখিক নির্দেশ দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া এবং সময় মতো না হওয়াতেই এই ঘটনা ঘটছে। এই মর্মে আজ হুগলীর এডিএম (জেলা পরিষদ) প্রলয় মজুমদারকে ডেপুটেশন দেয় তারা।
এব্যপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া না-গেলেও হুগলী জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্যাঁচে ফেলতে এই সমীক্ষা করেছে।’ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘যারা কাজ করেছে তাদের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক এ্যকাউন্টে ঢুকেছে। কোনও দূর্নীতি হয়নি। কাজ যে হয়েছে তার ছবি আছে। আমাদের রাজ্য একশ’ দিনের কাজে দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে। সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।’
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,’কেন্দ্রীয় সরকারের কথায় ব্যবস্থা গ্রহণ ঠিক নয়। জেলা শাসক তদন্ত করুন, তাহলেই সত্য সামনে আসবে।’