সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদের দমন করতে সরকারের কঠোর ভূমিকা থাকা দরকার। কিন্তু বাংলার ইতিহাসে পরাধীন দেশেও দেখাগেছে সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। শ্রীশ্রী গুরুমহারাজ সেইসব দেখেই বলেছিলেন হিন্দুদের সংগঠিত হতে। অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের আক্রমণ করার জন্য নয়, বরং গ্ৰামে শহরে হিন্দু মিলন মন্দির গড়ে ও রক্ষীদল গড়ে শক্তির প্রদর্শন করতে বলেছিলেন। শক্তির প্রদর্শন করাটাই সব থেকে জরুরী। কারণ বাঘে-ছাগলে ঐক্য হয় না, ঐক্য হয় সবলে-সবলে। আজ বাংলায় প্রয়োজন গুরুমহারাজের প্র্যাকটিক্যাল তত্বের প্রচার ও বাস্তবায়ন। তা না হলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরাও জেনে রাখুন শক্তিসাম্য নষ্ট হলে কেউ দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহাই পাবে না, যেমনটি বাংলাদেশে কেউ রেহাই পায়নি, পায়না। তাই “শক্তির ব্যবহার না করেও শক্তির প্রদর্শন ” করেই ধর্মনিরপেক্ষতা, পারস্পরিক সম্প্রীতি রক্ষা সম্ভব। সাম্প্রদায়িকতার তকমা গায়ে লেগে যাবার ভয়ে হিন্দুরা যত ঘরে ঢুকে যাবে অন্যরা ততটাই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে। কারণ বেদ যেমন হিন্দুদের শিখিয়েছে সকলকে অমৃতের সন্তান ভাবতে, অন্যেরা এই শিক্ষা দেয় অন্যভাবে।”যারা আমায় বিশ্বাস করে না তারা কাফের।”―এই কাফের শেষ পর্যন্ত বলা হবে যারা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ তাকেও। তাই সম্প্রীতি রক্ষার পথ খুঁজে পেতে এই সময় স্বামী প্রণবানন্দজীর হিন্দু সমাজ সমন্বয় আন্দোলনের ইতিহাস বার বার চর্চা করুন এটা সকলের কাছে অনুরোধ।
শিবগোপাল মহাশয়