আমেরিকা থেকে বাংলা সম্পর্কে প্রকাশিত এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে সারা বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের​ সৃষ্টি হয়েছে

একসময় ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক হিসাবে পরিচিত বাংলার মাটিতে আজ যা যা ঘটছে এবং ঘটে চলেছে তা আর কারও কাছেই​ অজানা নয়।

বেশ কিছুদিন ধরেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে হিন্দু উৎসব পালনের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে​।

বিখ্যাত আমেরিকান সাংবাদিক জ্যানেট লেভি বাংলার বর্তমান অবস্থা এবং পরিস্থিতি নিয়ে যে নিবন্ধটি লিখেছেন এবং তাতে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, সেসব কিছু জানলে আপনার পায়ের তলার মাটি সরে যাবে।

জেনেট লেভি দাবি করেছেন যে খুব তাড়াতাড়িই বাংলা একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

জেনেট লেভি তার সর্বশেষ নিবন্ধে দাবি করেছিলেন যে কাশ্মীরের পরে শিগগিরই বাংলায় গৃহযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।
যেখানে হিন্দু সম্প্রদায় গণহত্যার​ শিকার হবে এবং “মোগলস্থান” নামে একটি পৃথক দেশ অর্থাৎ ভারতের আরও একটি বিভাজন দাবি করা হবে, তাও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেই তরোয়াল বাহিনীর সাহায্যে যারা মাননীয়ার ভোট ব্যাংক ভরাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

জ্যানেট লেভি তার নিবন্ধে এই দাবির স্বপক্ষে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে লিখেছেন যে “দেশভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গে( যা ভারতের অন্তর্ভুক্ত) মুসলমানদের জনসংখ্যা ছিল ১২%- এর চেয়ে কিছুটা বেশি, যদিও পূর্ববঙ্গের​ হিন্দুরা অনেকে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন এবং আজ পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭%, কিছু কিছু জেলায় তো আবার সেই সংখ্যা হয়েছে ৬৩%। অন্যদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুরা ৩০% থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮%।

আপনি এখানে জ্যানেটের সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়তে পারেন
http://www.americanthinker.com/articles/2015/02/t__muslim_takeover_of_west_bengal.html

“রেসপনসিবল্ ফর ইনক্রিজিং মুসলিম পপুলেশন”— শীর্ষক এই নিবন্ধটি
জেনেট লিখেছেন ‘আমেরিকান থিঙ্কার”‘ ম্যাগাজিনে।
এই নিবন্ধটি সেইসব দেশগুলির জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসাবে লেখা হয়েছে যারা মুসলিম শরণার্থীদের জন্য তাদের দেশের দ্বার খুলে রেখেছে।

জেনেট লেভি একটি খুব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন যে, কোনও জায়গায় মুসলিম জনসংখ্যার শুধুমাত্র ২৭% সেই জায়গাটিকে একটি পৃথক ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

তিনি আরও দাবি করেছেন যে মুসলমানরা একসাথে বসবাস করে এবং জনসংখ্যার ২৭% হওয়ার সাথে সাথেই ইসলামিক আইন মোতাবেক শরিয়ার মাধ্যমে তাদের জন্য আলাদা একটি দেশ গঠনের জন্য দাবি জানাতে থাকে।

পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ দিয়ে তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের​ অবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিটি নির্বাচনে জয়ের পিছনে মূল কারণই হ’ল সেখানকার মুসলমানরা।

বিনিময়ে মমতাও মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য যথোপযুক্ত নীতিমালা তৈরি করেন।

সৌদি থেকে আসা অর্থবলে বলীয়ান হয়েই কি তবে এই জিহাদির খেলা শুরু হয়েছে?

খুব তাড়াতাড়িই বাংলায় পৃথক ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের দাবি উঠতে চলেছে এবং ক্ষমতালোভী মমতা যে এটি সানন্দে গ্রহণ করবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি তাঁর এই দাবির পিছনে উপযুক্ত তথ্য সহকারে জানিয়েছেন যে মমতা সৌদি আরব থেকে প্রাপ্ত তহবিলের​ আনুকূল্যে দশ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তাদের সরকারী চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ডিগ্রিধারী করে তুলেছেন। সৌদি থেকে আসে টাকা এবং এইসব মাদ্রাসাগুলিতে বিনা বাধায় শেখানো হয় ওয়াহাবী ধর্মান্ধতা।

তিনি লিখেছেন যে মমতা মসজিদের ইমামদের জন্য বিভিন্ন ধরণের ভাতা ঘোষণা করেছেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই হিন্দুদের জন্য এধরনের কোন ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি।

মমতা একটি মুসলিম নগর প্রকল্পের​ সূচনা করেছিলেন, যেখানে বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা উগড়ে দেওয়া শেখানো হত।

সারা বাংলায় মুসলিমদের​ জন্য খোলা হচ্ছে আলাদা মেডিকেল কলেজ, টেকনিক্যাল ও নার্সিং স্কুল, যেখানে মুসলিম শিক্ষার্থীরা খুব কম খরচে শিক্ষা লাভ করবে। এগুলোর​ বাইরেও এমন অনেক হাসপাতাল তৈরী হচ্ছে যেখানে কেবলমাত্র মুসলমানদেরই চিকিৎসা করা হবে। এছাড়াও রয়েছে মুসলিম যুবকদের বিনামূল্যে সাইকেল, ল্যাপটপ বিতরণ করার পরিকল্পনাও​। আর​ মজার বিষয় হ’ল যে শুধুমাত্র
মুসলিম ছেলেরাই যাতে ল্যাপটপ পান, মুসলিম মেয়েরা নয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

জ্যানেট সন্ত্রাসবাদের জন্য মুসলমানদের দোষী​ করেছেন। জ্যানেট লিখেছেন যে বাংলার চরম দারিদ্র্যসীমার অন্তর্ভুক্ত এবং অবশ্যই বসবাসরত লক্ষ লক্ষ হিন্দু পরিবারকে এজাতীয় কোনও প্রকল্পের সুবিধার​ আওতায় আনা হয়নি।

জেনেট লেভি বিশ্বব্যাপী এমন অনেক উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথেই​ সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় উগ্রবাদ ও অপরাধের মতো ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়েই, এই জায়গাগুলিতে একটি পৃথক শরিয়া আইন চালু করার দাবি জানানো হয় এবং শেষ পর্যন্ত যা একটি পৃথক দেশের দাবীতে গিয়ে পৌঁছোয়।
উক্ত নিবন্ধে, জ্যানেট এই সমস্যার জন্য ইসলামকে দায়ী করে বলেছেন, কোরানে খোলামেলাভাবেই​ এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে সারা বিশ্বজুড়েই​ মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

তসলিমা নাসরিন একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্থাপন করেছেন

জ্যানেট আরও লিখেন, অ-মুসলমানদেরকে জোর করে ধর্মান্তরিত​ করে বা হত্যা করে ইসলামকে সবজায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার নোংরা চেষ্টা চলছে।
তিনি এই নিবন্ধে বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কেও​ লিখেছেন।

বাংলার দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছিলেন যে ২০০৭ সালে কলকাতায় বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে এক দাঙ্গার​ পরিস্থিতির​ সৃষ্টি হয়েছিল।

এটাই ছিল প্রথম প্রচেষ্টা যেখানে বাংলার মুসলিম সংগঠনগুলি ইসলামিক ধর্মনিন্দা বিষয়ক (ব্লাসফ্যামি) আইন প্রনয়নের দাবি জানাতে শুরু করে।

ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার​ দিকে প্রশ্নচিহ্ন ওঠে

১৯৯৩ সালে তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হওয়া নৃশংস অত্যাচার ও জোর করে মুসলমান বানানোর বিষয়ে ‘লজ্জা’ শীর্ষক একটি বই লিখেছিলেন।
বইটি লেখার পরে ধর্মান্ধতার ভয়ে তাঁকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল।
তিনি কলকাতায় এটা ভেবে আসেন যে তিনি সেখানে নিরাপদ থাকবেন কারণ ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং সেখানে নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হ’ল, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশেও মুসলমানরা তসলিমা নাসরিনকে ঘৃণার​ চোখে দেখেছিল এবং তার
গলা কাটার মতো নারকীয় এক ফতোয়া জারি করা হয়।
দেশের বিভিন্ন শহরেও বেশ কয়েকবার তাঁর উপর আক্রমণ হতে থাকে।
তবে ভোট ব্যাংক লোভী এবং ক্ষমতালিপ্সু বাম এবং তৃণমূল সরকার এতোকিছুর পরেও তসলিমাকে সমর্থন করল না কারণ এতে মুসলমানরা রেগে যাবে, আর ভোটব্যাঙ্কেও তার প্রভাব পড়বে।

বাংলায় ‘মোগলস্তান’ ঘোষণা করার দাবি উঠেছে

জ্যানেট লেবি আরও লিখেছেন যে ২০১৩ সালে প্রথমবার বাংলার কিছু মৌলবাদী মৌলবীরা পৃথক ‘মোগলিস্তান’-এর দাবি জানিয়েছিলেন। ঐ
একই বছরে​ বাংলার দাঙ্গায় শতাধিক হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানপাট লুট করা হয় এবং তার সাথে অনেক মন্দিরও ধ্বংস করা হয়েছিল।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই দাঙ্গায় জড়িত থাকা দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য সরকার পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

হিন্দুদের কি বয়কট করা হচ্ছে?

মমতা ভয় পেয়েছিলেন যে মুসলমানদের থামানো হলে বা তাদের বিরুদ্ধে কোনোরকম পদক্ষেপ নিলেই তারা রেগে যাবে এবং স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সরকারকে ভোট দেবে না।

নিবন্ধে বলা হয়েছে যে এটা শুধুমাত্র দাঙ্গার​ জন্য নয়, বরং দেশ থেকে হিন্দুদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার একটা কৌশল।
মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের​ মতো মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতে মুসলমানরা হিন্দুদের দোকান থেকে কোনো পণ্য কেনে না। হিন্দুদের একপ্রকার বয়কট করে রেখেছে।

এ কারণেই বিপুল সংখ্যক হিন্দু সেখান থেকে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মতো এখান থেকেও হয়তো হিন্দুদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে।
এই জেলাগুলিতে​ হিন্দুরা মূলতঃ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ সমর্থকদের সংসদে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন মমতা

এর পরে, জানেট লিখেছেন যে মমতা এখন সন্ত্রাসবাদের​ সমর্থকদের সংসদে পাঠানো শুরু করেছেন।

২০১৪ সালের জুনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহমেদ হাসান ইমরান নামের​ এক কুখ্যাত জিহাদীকে তাঁর দলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন।

হাসান ইমরান ছিলেন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন “সিমি”র সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

হাসান ইমরানের বিরুদ্ধে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির টাকা বাংলাদেশের জামাত-ই- ইসলামীর হাতে তুলে দিয়ে সেখানে দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

হাসান ইমরানের বিরুদ্ধে এনআইএ এবং সিবিআই তদন্ত চলছে।

“লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট”( এলআইইউ)-এর প্রতিবেদন অনুসারে, হাসান সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার​ পাশাপাশি অসংখ্য দাঙ্গায় মদত দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের সাথেও​ জড়িত।
তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগ রয়েছে।

জ্যানেটের মতে, ভারত থেকে বঙ্গভঙ্গের​ দাবি ওঠা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এই নিবন্ধের মাধ্যমে জ্যানেট সেই সব পশ্চিমা দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে যারা মুসলিম শরণার্থীদের পুনর্বাসিত করছে, তারা শিগগিরই জার্মানি এবং ইংল্যান্ডের মতো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।

ভারতমাতার জয় 🙏🏻

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.