‘The Lancet’ একটি প্রেস্টিজিয়াস মেডিক্যাল জার্নাল। জার্নালটি সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক এডিটোরিয়াল লিখেছে এবং মোদীকে বকাবকি করেছে। মোদী নাকি পারছেন না কোভিড সামলাতে। কিভাবে মোদী কোভিড সামলাবেন সে পরামর্শও ল্যানসেট দিয়েছে। ‘দ্য ল্যানসেট’ বলেছে, ভারতের কোভিড সামলানোর অন্যতম পন্থা নাকি বিদেশ থেকেও ভ্যাকসিন কেনা। ল্যানসেট লিখেছে— “India must now pursue a two-pronged strategy. First, the botched vaccination campaign must be rationalised and implemented with all due speed. There are two immediate bottlenecks to overcome: increasing vaccine supply (some of which should come from abroad) and setting up a distribution campaign…” ইত্যাদি।
অর্থাৎ ভারত কেন বেশি দামী বিদেশী ভ্যাকসিন কিনে বিদেশকে পয়সা দিচ্ছে না? এত সাহস ভারতের হয় কি করে? নিজের জিনিস ভারত যদি নিজেই বানিয়ে নেয়, ভারতের এত লোভনীয় বাজার থেকে ‘লাভের গুড়’ বিদেশী বহুজাতিকগুলো তাহলে পাবে কি করে? ওদিকে বাস্তবে ভারত ফাইজারের ভ্যাকসিন কিনতে চেয়েছিল। ভারত ফাইজারকে বলেছিল, ইণ্ডিয়ান কণ্ডিশনে ট্রায়াল করতে। (সাপোর্টিং ডকুমেন্ট কমেন্ট সেকশনে আছে) কারণ ইণ্ডিয়ায় ফাইজারের ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে কি না তা বুঝতে ইণ্ডিয়ান ওয়েদারে ট্রায়াল অত্যন্ত জরুরী বৈ কি। কিন্তু ফাইজার তখন পিছু হটেছে। তাই হয়ত ‘দ্য ল্যানসেট’কে বলেছে—’মোদীকে বকে দাও, আমাদের পয়সা দিতে রাজী হচ্ছে না। তোমরা বকলে লোকে ভাববে এত বড় মেডিকেল জার্নাল যখন বকছে, তখন মোদী নিশ্চয়ই ভুল করেছে।’ তাই হয়ত ল্যানসেটের ঐ রাজনৈতিক এডিটোরিয়াল। ফার্মা ইণ্ডাস্ট্রিকে যতটুকু চিনি, এই এডিটোরিয়াল লিখতে প্রচুর চার্জ করেছে ল্যানসেট আর প্রচুর খসেছে ফাইজারের। মাঝখানে দালালি খেয়েছে আল জাজিরা ও নিউইয়র্ক টাইমসের মত পত্রিকা। তবে ভারতের ginormous বাজার ধরতে এটুকু তো ফাইজার করতেই পারে!
কিন্তু আল জাজিরা ও নিউইয়র্ক টাইমসের কথা মাঝখানে এল কেন? কারণ আছে। ভারতের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন যে botched সেই মিথ্যে দাবী ল্যানসেটের এডিটোরিয়ালে ল্যানসেট করল কেন ও কিভাবে সে রিস্ক তারা নিল? Well, সে দোষের ভাগী হতে অবশ্য ল্যানসেট রাজী হয় নি। তাই আইনি পথে তাদের কেউ চ্যালেঞ্জ করতে যাতে না পারে, তার গোড়া মেরে রাখার চেষ্টা পত্রিকাটি করেছে। এডিটোরিয়াল কলামের পাশে তারা ডিসক্লেইমার লিখে দিয়েছে যে খবর তাদেরকে সরবরাহ করেছে আল জাজিরা ও নিউইয়র্ক টাইমসের মত পত্রিকা। একথার আইনি তাৎপর্য হল, খবরে যদি ভুল থাকে, তার দায় ল্যানসেটের নয়। Now note, আল জাজিরা বা নিউইয়র্ক টাইমস হল সেই সব পত্রিকা যারা বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর সে স্ট্রাইকের সত্যতাকে অস্বীকার করতে পাগলের মত উঠে পড়ে লেগেছিল।
এবার বাকি আপনার বিবেচনা। আমার মতে বর্তমান সময়ে মানুষকে একটু বেশি বুঝদার হতেই হবে। চোখ, কান বন্ধ করে থাকলে চলবে না। মিডিয়াকে তো না-ই, কোনো ইণ্ডিভিডুয়াল মানুষের কথাও নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।