কিছুদিন আগে যখন পশ্চিমবঙ্গে কয়েক দফার নির্বাচন বাকি ছিল তখন থেকেই ভারতবর্ষে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপের বিস্ফোরণ হওয়ার তথ্য পাচ্ছিলাম। তার আগে থেকেই সারা পৃথিবীতে ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার খবর ঘনিয়ে আসছিল, হঠাৎ যেন ভারত সারা পৃথিবীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলো। আশ্রমের বাইরে থাকার কারণে আমি সেভাবে খেয়াল রাখতে না পারলেও যেটুকু লক্ষ্য করেছি তাতে দেখেছি যে পশ্চিমী মিডিয়াগুলো ভারতের সরকারকে সাংঘাতিকভাবে আক্রমণ করতে লেগেছে। নিউইয়র্ক টাইমস, দ্যা গার্জিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান টাইমস, বিবিসি, সিএনএন এরা শুধুমাত্র ভারতের সরকারকে নয়, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই এর জন্য দায়ী করছিল। ভারতকে তখন ওরা ‘ভাইরাল অ্যাপোক্যালিপ্স’ বলছিল।
প্রধানমন্ত্রীর রক্তমাখা হাতের কার্টুন পর্যন্ত ফিল্টার করে ভারতে এসে পৌঁছেছিল। এই সকল বিদেশি মিডিয়াগুলো বারবার বলছিল যে ভারতে সাংঘাতিকভাবে সংক্রমণ হচ্ছে, দিনে এক লাখ, দু লাখ, তিন লাখ থেকে চার লাখ পর্যন্ত মানুষ পজিটিভ হচ্ছে, বিপুল সংখ্যায় মানুষ মারা যাচ্ছে, অক্সিজেনের অভাবনীয় ঘাটতি, হাসপাতাল ও বেডের মর্মান্তিক ক্রাইসিস ইত্যাদি। আর সবাই যদি একসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে চায়, কোভিড ওয়ার্ডে বা বিভিন্ন ট্রমা সেন্টারে ছুটে যায় তাহলে তো ক্রাইসিস হওয়া স্বাভাবিক। যাই হোক, বিদেশি মিডিয়াগুলো বলছিল যে ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, প্রশাসনিক পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত, আর এর মাঝে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে rally করতে যাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ সেই rally-তে উপস্থিত থাকছে, তাদের মুখে মাস্ক নেই, তারা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে আছে, তার সাথে আবার প্রধানমন্ত্রী কুম্ভ মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্নান করতে দিচ্ছেন, সেখানে লাখে লাখে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, তারা রোগ নিয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরছে, ফলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাচ্ছে — এভাবে পরিস্থিতি ক্রমাগত নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আমি বলছি না যে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের উপরে এর কোনো প্রভাব পড়ল, কারণ ততদিনে মোটামুটি ভোটিং ট্রেন্ড যা হবার হয়ে গেছে, সেটা আমরা নির্বাচনের ফল দেখেই বুঝতে পারছি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার হয়তো একটা ফাইনাল মাস্টার স্ট্রোক দিত কিন্তু সেটা দিতে পারল না। মনে রাখতে হবে যে ঠিক এইভাবেই কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে জো বাইডেনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কোভিড আসার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যা অবস্থা ছিল তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেতা নিয়ে প্রায় কোনো সংশয়ই ছিল না। আমেরিকার ইকোনমিকে তিনি এতটাই ঊর্ধ্বগামী করেছিলেন এবং আমেরিকানদের সামাজিক সুরক্ষা ও সম্মানের জায়গাকে তিনি এতটাই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন যে তাঁর কথাবার্তা যতই পাগলাটে মনে হোক না কেন আমেরিকার মানুষ দলে দলে তাঁকেই ভোট দিত। আর ঠিক সেই সময়েই কোভিড এল আর আমেরিকার মিডিয়া দিনের পর দিন পরিসংখ্যানের বিধ্বংসী রূপ দেখাতে লাগল। বলতে লাগল যে প্রতিটি আমেরিকান শহর অচল হয়ে যাচ্ছে, দলে দলে লোক মারা যাচ্ছে, সংক্রমণ বাড়ছে, ওষুধ নেই, ভেন্টিলেটার নেই, অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালের অভাব, পরিষেবা খারাপ, অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপারটাকে একদমই পাত্তা দিচ্ছেন না কারণ তিনি চাইছেন যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা মারা যাক, কৃষ্ণাঙ্গরা মারা যাক, বাইরের দেশ থেকে আসা মানুষ মারা যাক, গরিব মানুষেরা শেষ হয়ে যাক। এভাবে এমন প্রচারের জোয়ার উঠেছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলেন। যদিও তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে প্রচুর ভোট পেলেন, আগেরবারের থেকেও তিনি বেশী ভোট পেলেন, অন্যদিকে তাঁর চেয়েও বেশী ভোট পেয়ে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই কিন্তু আমেরিকার মিডিয়া ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলা প্রায় বন্ধ করে দিল, যেন তার পরদিন থেকেই পুরো আমেরিকা সুস্থ হয়ে উঠল, চিকিৎসা পরিষেবা ঠিক হয়ে গেল।
আমরা এটাও দেখলাম যে ট্রাম্প WHO-তে আমেরিকার ফান্ডিং বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই WHO-কে পুনরায় ফান্ডিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ছিলেন। তারপর থেকে আমেরিকার মিডিয়া চুপ করে গেল। অথচ আমি আজ থেকে তিন চার দিন আগেকার খবর বলছি, আমেরিকাতে প্রত্যেকদিন ষাট হাজার জনের পজেটিভ হওয়ার রিপোর্ট জমা পড়ছে। অবস্থাটা আগের থেকে একেবারেই ভালো নয়, অথচ ওরা রিপোর্টিং করা বন্ধ করে দিয়েছে, মিডিয়া আমেরিকার প্রশাসন বা প্রেসিডেন্টকে দায়ী করা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আর বলা হচ্ছে না যে আমেরিকার স্বাস্থ্য পরিসেবা ভেঙে পড়েছে।
বিদেশী মিডিয়াগুলো সারাক্ষণ বলছে যে ভারতবর্ষে নাকি সংক্রমণের বিস্ফোরণ হচ্ছে অথচ বাংলাদেশে তো কিছু হচ্ছে না! তার মানে আমি ধরেই নিচ্ছি বাংলাদেশে সবাই মাস্ক পরছে, সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে, কোন জমায়েত করছে না, সবাই সারাক্ষণ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করছে। পাকিস্তানেও কিছু হচ্ছে না! যে পাকিস্তান কোন টেস্টিং-ই করে না তারা ভারতবর্ষকে সাহায্য করবে বলছে! শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার বা আফগানিস্তানের কোথাও কিছু হচ্ছে না অথচ ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী এরা তো ভারতের পাশাপাশিই আছে। তাহলে ভারতবর্ষে এত ভয়াবহ সংক্রমণ হচ্ছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি কেন?
আজকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়ে যাওয়ার পর যখন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে দিল্লিতে মন দিচ্ছেন, আমার মনে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ভারতকে নিয়ে ওই চড়া সুরটা এবার একটু কমাতে পারে, কারণ এখন আসল কাজটা হয়ে গেছে।পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন হয়ে গেছে, নির্বাচনের রেসাল্ট সম্পূর্ণভাবেই মোদির বিরুদ্ধে গেছে। আপাতত ওদের কাজটা শেষ হয়ে গেছে, এবার ভারতকে ভাঙার ফোর্সগুলো সক্রিয় হতে পারবে, পশ্চিমবঙ্গ সবথেকে vulnerable বা starting point হয়ে যেতে পারে। স্লিপার সেলগুলো এবার জাগ্রত হতে আরম্ভ করবে। তাই ভারতকে নিয়ে তীব্রভাবে সমালোচনা করার আর অতটা প্রয়োজন নেই এখন। আশা করছি আট মাস পরে যখন উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন শুরু হবে তখন আবার এরকম নেতিবাচক প্রচার প্রয়োজন হবে। কারণ মনে রেখো, যে বা যাঁরা এই ধরনের রিপোর্টগুলো লিখছেন, যেমন নিউইয়র্ক টাইমসে যাঁরা এধরনের রিপোর্টিং করছেন তাঁরা কিন্তু কোন সাহেব নন, তাঁরা ভারতীয়; হয় তিনি নিউইয়র্ক টাইমসের ইন্ডিয়া করেসপন্ডেন্ট অথবা তিনি হয়তো গেস্ট columnist, সেটা অরুন্ধতী রায়ের মত নামকরা লেখক হতে পারেন, যিনি বুকার প্রাইজ বা অন্যান্য খেতাবে সম্মানিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক লেখক হিসেবে তাঁর যেহেতু খ্যাতি আছে তাই গার্জিয়ানের মত কোন নিউজপেপার হয়তো গেস্ট রাইটার হিসাবে তাঁর লেখা ছাপাচ্ছে। সেখানে এনারা প্রত্যেক শব্দের জন্য দু ডলার করে পাচ্ছেন। সুতরাং লেখার মধ্যে যত তুমি শব্দ বাড়াতে পারবে তত তোমার ডলারের পরিমাণ বাড়বে। তুমি যদি নরেন্দ্র মোদিকে শুধু ফ্যাসিস্ট বলো তাহলে তুমি মাত্র দু ডলার পাবে। এবার তুমি যদি তাঁকে right-wing fundamentalist fascist বলো তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার জন্য ৪ × ২ = ৮ ডলার পাবে। অতএব যত তুমি সমালোচনা করবে বা তীব্র প্রতিক্রিয়ামূলক শব্দ প্রয়োগ করবে তত তোমার উপার্জন বেশি হবে। এইজন্যই আমি বলছি যে খেলার মধ্যে কিন্তু আরও অন্য খেলা চলছে।
আমরা নির্বাচন এবং ফল নিয়ে কিছুটা ভুলে আছি, কিন্তু এই নির্বাচনটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্রেকিং ইন্ডিয়া ফোর্সগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতে হবে।
তোমাদের আমি আরেকটা ফিগার দেবো, এগুলো মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার খবর, (এর সোর্স জানতে চাইলে সেটাও পাঠাবো)। প্রতি ওয়ান মিলিয়নে বা দশ লক্ষ সংক্রমিত মানুষদের মধ্যে হাঙ্গেরিতে এক সময় মারা যাচ্ছিল ২৭১৯ জন, ইটালিতে ১৯৬০ জন, ইংল্যান্ড বা ইউনাইটেড কিংডমে ১৮৬৮ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৫৭ জন। আরও অনেক দেশ আছে, আমি আলাদা করে প্রত্যেকের নাম বলছি না। যাই হোক এই সকল দেশে প্রতি দশ লক্ষ সংক্রমিত মানুষদের মধ্যে গড়ে পনেরশোর উপরে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে ভারতের মৃত্যুর সংখ্যাটা ১৩৪। তিন চারদিন আগে পর্যন্ত এই রিপোর্ট ছিল। ভারতের নিচে আর একটাই বড় দেশ আছে, সেটা চীন, যেখানে প্রতি দশ লক্ষ সংক্রমিতদের মধ্যে মাত্র তিনজন মারা যাওয়ার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে। এবারে ইতালিতে যখন ১৯৬০ জন করে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল তখন কি কারুর ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে সারা বিশ্ববাসীর সমালোচনা করে তুলোধোনা করার কথা মনে পড়ছে? হাঙ্গেরিতে যখন ২৭১৯ জন মারা যাচ্ছিল, যখন ইউনাইটেড কিংডমে ১৮৬৮ জন মারা যাচ্ছিল তখন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কি কেউ দোষারোপ করছিল? সেখানকার স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে কি কেউ প্রশ্ন তুলছিল? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংঘাতিক ফিগার দেখাচ্ছিলো, কিন্তু এখন ওখানে কি হচ্ছে সেটা কেউ জানতে পারছে না কেন?
মিডিয়া এখন আর ওদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কারণ এখন ওদের পেয়ারের দোস্ত বাইডেন ক্ষমতায় চলে এসেছে। আর বাইডেনের চেয়ারটা পুরোপুরি চায়নার কেনা। তাই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পুরোপুরি পাশে রয়েছে বাইডেন। অতএব আমরা একটা ছবি পাচ্ছি। যারা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এই রিপোর্টিংগুলো করছে, এরাই কৃষক আন্দোলনকারীদের হয়ে প্রতিবাদ করেছিল — হে বিশ্ববাসী দেখতে এসো, এটাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ কৃষক আন্দোলন। যেন এটা তীর্থস্থান। এরাই এখন কৃষকদের ভুলে সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে পড়ে আছে। এরাই এক সময় হাথ্রাস কাণ্ড নিয়ে লিখছিল, এরাই দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে লিখছিল, এদের কাছেই পশ্চিমবঙ্গ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তাই ভোটের শেষ চার দফার ঠিক আগে ভারতকে নিয়ে খবরের বিধ্বংসী বার্তা তৈরি করেছিল, এমন একটা ছবি তৈরি করেছিল যেন ভারতের ঘরে ঘরে লোক মারা যাচ্ছে। এভাবে প্রচার করে ওরা পশ্চিমবঙ্গে মোদির হার সুনিশ্চিত করতে চাইছিল। এখন সেটা সুনিশ্চিত হয়েছে, এবার ভারতে বিভাজন তৈরি করে ভাঙার ওদের অনেক দিনকার যে প্রস্তুতি, সেটার দিকেই এগিয়ে চলেছে। ভিতরের সেলগুলো জেগে উঠছে, বাইরে থেকে ভায়োলেন্সের মোটিভগুলোকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে এবং তার ফলাফল আমরা দেখতে শুরু করেছি। আমাদের এই দিকটাকে একটু বোঝার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। কারণ সামনে যে খেলা চলছে তার পেছনে আরও বড় খেলা রয়েছে।
তার মানে এই নয় যে আমরা রোগ বা সংক্রমণকে গুরুত্বসহকারে নেব না।কিন্তু আমি যে পরিসংখ্যানগুলো দেখালাম এবং যেভাবে হঠাৎই অতর্কিতে নামকরা বিদেশি মিডিয়াগুলো ভারতকে টার্গেট করলো তার পেছনে অনেক বড় চক্রান্ত আছে। আমি দেখলাম যে পুরো বিশ্বের মিডিয়া থেকে শুরু করে সকলে আমাদের ভয়াবহ অবস্থা দূর করতে অক্সিজেন সরবরাহ করা ও বিদেশি ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রচার করতে লাগলো। মোদির অতি জাতীয়তাবাদ, মোদির ঔদ্ধত্ম,মোদিকে সমস্ত রাজ্যে জিততেই হবে,এই উন্নাসিকতা, এবং এটার জন্যই উনি হিন্দু উৎসব আটকাবেন না, তার জন্যই এই ভাইরাস পৃথিবীজুড়ে বিভীষিকা তৈরি করছে — এভাবে এমন এক আবহ তৈরি করা হলো যে অনেকেই ঘাবড়ে গেল। আসলে এভাবেই dehumanise করা হচ্ছে। যেখানে ভারতে এখনো পর্যন্ত প্রতি দশ লক্ষতে মৃত্যুর হার ১৩৪ জন। যে কোনো উন্নত দেশের তুলনায়, যে সকল দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা খুবই ভালো তাদের থেকে অনেক ভালো জায়গাতে আছে ভারত। অতএব আমার মনে হয় এর পেছনে একটা ব্রেকিং ইন্ডিয়া ফোর্স কাজ করছে।
শেষ কথা হচ্ছে কী break করবে? কেন করবে? কাকে ওদের ভয়? সভ্যতাকে ভয়। এটা সিভিলাইজেশনাল কনফ্লিক্ট। ভারতের সভ্যতা যদি তার নিজস্ব মহিমায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তাহলে পুরো পৃথিবীতে এতদিন ধরে যারা আগ্রাসন করেছে তাদের নগ্ন মিথ্যাগুলো প্রকাশিত হয়ে যাবে। জানা যাবে, ক্রিশ্চান যুগের আগে পৃথিবীব্যাপী যে সভ্যতা ছিল, ভালো মন্দ যাই হোক না কেন, সেটা ভারতের সভ্যতারই প্রসারিত রূপ ছিল। পুরো গল্পটার পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে, হাটে হাঁড়ি ভেঙে যাবে। এটাকে আটকানোর জন্যই শেষ মরিয়া প্রয়াস চলছে।
আমার সাথে সবাইকে একমত হতে হবে না, তোমরা বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখতে পারো। অথবা আমরা
অপেক্ষা করলে আগামী সময় হয়তো সত্যকে প্রকাশ করবে।।
জয়দীপ মহারাজ