শীতলকুচিকাণ্ডে ২ অফিসারসহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে তলব করল সিআইডি। মঙ্গলবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানী ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিমারীর কারণে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে আবেদন নাকচ করে দেয় সিআইডি। কী কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, মূলত তা জানতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এই তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তিনি শীতলকুচি কাণ্ডে তদন্ত শুরু করবেন। ক্ষমতায় আসার কয়েকদিনের মধ্যেই এবার শীতলকুচিতে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ডেকে পাঠানো হল।
সিআইডির তরফে জানানো হয়েছে, দুই সিআইএসএফ অফিসার-সহ ছ’জনকে সশরীরে ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছয় জনের মধ্যে একজন ডেপুটি কম্যান্ডেন্ট, চারজন কনস্টেবল ও একজন ইনস্পেকটর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। কী কারণে সেদিন হঠাৎ তারা গুলি চালিয়েছিল, মূলত এই বিষয়েই ওই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদেরদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন কোচবিহারের শীতলকুচির জোর পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার যুবকের। এর আগে সোমবার শীতলকুচিকাণ্ডে, মাথাভাঙার আইসি-সহ আরও ২ জন পুলিশ অফিসারকে তলব করেছিল সিআইডি। ওই দুই অফিসারের মধ্যে রয়েছেন মাথাভাঙা থানার এএসআই সুব্রত মণ্ডল ও রাফা বর্মন। সুব্রত মণ্ডল নির্বাচনের দিন ক্যুইক রেসপন্স টিমের দায়িত্বে ছিলেন। এএসআই রাফা বর্মন ভোটের দিন সেক্টর অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শীতলকুচিকাণ্ডে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চার যুবককে গুলি করেছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী। চাইলে কোমরের নীচে গুলি করতে পারত তারা। বুক লক্ষ্য করে গুলির প্রয়োজন ছিল কী? সেদিনের ঘটনাকে গণহত্যা বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচির ঘটনার পরে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে সিআইডি।