জমির পাট্টা দেওয়ার নামে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছিল তৃণমূলী প্রধান! কাটমানি ফেরত নিতে পঞ্চায়েতের সামনেই ধর্না ব্যাক্তির

নজরুল মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তৃণমূলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘যারা যারা কাজের নাম করে কাটমানি নিয়েছে, তাঁরা যেন ফেরত দিয়ে দেয়।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরেই গোটা রাজ্যে তৃণমূল নেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। কারণ এর আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কাটমানির ৭৫ শতাংশ ভাগ চেয়েছিলেন। আর সেই হিসেবেই তৃণমূলের নেতারা দেদার কাটমানি আদায় করেন জনতার কাছ থেকে। কাটমানি তুলে তুলে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল তৃণমূলের নেতারা। এবার সেই টাকা ফেরত নিতে আসরে নেমেছে জনতা।

এরাজ্যে তৃণমূলের নেতাদের টাকা না দিয়ে যে কোন কাজই হয়না, সেটা ভালো মতই যানে রাজ্যবাসী। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্রিতে গ্যাস কানেকশন থেকে শুরু করে বাড়িতে শৌচাগার বানানোর জন্য কাটমানি দিতে হয়েছিল তৃণমূলের নেতাদের। হাজার থেকে লক্ষ, আবার কোটি কোটি টাকার কাটমানিও নিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা।

তৃণমূলের নেতাদের এহেন ভাবে কাটমানি আদায়ে রাজ্যবাসী চরম অশান্তিতে থাকলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। এমনকি সমব্যাথি প্রকল্পে পাওয়া ২০০০ টাকার মধ্যেও ভাগ বসাত তৃণমূলের নেতারা। এবার সেই নেতাদের দেওয়া কাটমানি ফেরত পেতে বদ্ধপরিকর রাজ্যবাসী।

গতকাল তৃণমূলের প্রধানকে দেওয়া আড়াই লক্ষ টাকার কাটমানি ফেরতের দাবিতে ধর্নায় বসলেন ফুলিয়া কলোনীর বাসিন্দা চামারি সাউ। অভিযোগ, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে তিন কিস্তিতে আড়াই লাখ টাকা প্রধান নিয়েছে জমির পাট্টা পাইয়ে দেবে বলে। কিন্তু তা সে দেয়নি, উপরন্তু সেই জমি ত্যাগ করতে চাপ দিচ্ছে প্রধান। এই অভিযোগ জানানো হয় শান্তিপুর থানার ওসিকেও।

সেই টাকা ফেরতের দাবিতে ফুলিয়া কলোনীর বাসিন্দা চামারি সাউ গতকাল সকাল থেকে কাটমানির আড়াই লক্ষ টাকা ফেরৎ চেয়ে হাতে প্রধানের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড লিখে বসে পরেন ব্লক অফিসের সামনে। যদিও এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের প্রধান উৎপল বসাক।

উৎপল বসাক জানান, সব অভিযোগ মিথ্যে, এটা ষড়যন্ত্র। সব সাজানো। তাকে লোকের কাছে ছোট করতেই দলের কেও কেও এটাই ইন্ধন দিচ্ছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.