রাজ্যে করোনা সংক্রমণের জেরে পরিবহণ ব্যবসা ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এক দিকে যেমন কমেছে যাত্রী। অন্য দিকে জ্বালানির দাম বেড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে বাস মালিকরা। তবে এর পরেও ভাড়া বৃদ্ধির পথে হাঁটতে রাজি নয় বাস মালিকের একটি অংশ । তারা চাইছেন জ্বালানিকে জিএসটির (GST) আওতায় আনা হোক। এই দাবি নিয়ে আগামী ১৭ মে থেকে কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বাস এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই আন্দোলনে সমর্থন জানানোর আবেদন জানিয়ে চিঠিও লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গ বাস মিনিবাস মালিক সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গণপরিবহণ কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য রবিবার পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। কৃষি ক্ষেত্রে পরেই পরিবহণ ক্ষেত্রের কর্মীরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় খুবই খারাপ অবস্থার মুখে পড়েছে দেশ ও রাজ্য। আর এই ক্ষতির থেকে বাদ যায়নি গণপরিবহণ ব্যবস্থাও। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাস, মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি কোনও কার্যকরী উপায় নয় বলে দাবি করেছে বাস এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন। বাস মালিকরা মনে করেন, জ্বালানি জিএসটির অন্তর্ভুক্ত হলে দাম অনেক কমবে। ফলে খরচও কমবে বাস মালিকদের। যার লাভ পাবেন কর্মী এবং নিত্যযাত্রীরা।
সংগঠনের বক্তব্য, ইতিমধ্যে বহু মানুষ করোনার জন্য কাজ হারিয়েছেন। এরাই একসময় বাস, মিনিবাসের নিত্যযাত্রী ছিলেন। তাই ভাড়া বাড়িয়ে কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি সংগঠনের। তাই তাদের দাবি ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানিকে জিএসটির আওতায় এনে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বাস মালিকদের সংগঠন। এই আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন চেয়ে সংগঠনের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকার বাস মালিকদের এই প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত রাজি হয় কী না সেটাই দেখার। কেননা রাজ্য সরকারের জ্বালানি থেকে রাজস্ব আদায় হয়। তাই সেস তুলে জ্বালানি যদি জিএসটি-র অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে রাজ্যের আয় অনেকটাই কমে যাবে।