ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি৷ ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে ইতিনধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র তথা আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
নির্বাচন পর্ব মিটতেই রাজ্যে একের পর এক হামলা ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে বৃহস্পতিবারই এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এসেই নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন করেছে তারা৷ রাজ্যের ডিজি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ওই প্রতিনিধি দলের। বৈঠক সেরেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সেদিনই সোনারপুরে চলে যান। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশপাশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এরপর তাঁরা যান ভাটপাড়ায়।
আজ, শুক্রবার কেন্দ্রীয় দল গিয়েছিল রাজভবনে৷ সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা৷ এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন৷ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরে৷ রাজভবন থেকে বেরিয়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলার উদ্দেশ্যে রওনাও হয়ে যান তাঁরা৷
এদিকে, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা ও তা রুখতে প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে আগেই নবান্নের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার ফের এক চিঠিতে দ্রুত সেই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট না দিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেন্দ্র।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতারা জানান, ২১ জন আমাদের মারা গিয়েছে। হিংসা চলছে আর সরকার বলছে থেমে গিয়েছে। সেটা ঠিক নয়। মেদিনীপুরে আমাদের তিনজন কর্মীকে কোপানো হয়েছে। একজন মারা গেছেন। মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওপর হামলা করা হয়েছে।