করোনাতে মৃত্যু হলেই ২ লক্ষ টাকা! জানুন বিশদে

কারোনার কারণে যদি কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তবে ওই ব্যক্তির পরিবার ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ টাকার বীমা পাবেন। তবে এর জন্য প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা (Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Bima Yojana) এর অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের দরিদ্র জনগণের বীমা করানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি ৯ মে ২০১৫ সালে চালু করেছিলেন। এর আওতায় ২ লক্ষ টাকা বীমার সুবিধা পাওয়া যায়।

PMJJBY- প্রকল্পটি করোনার কারণে মৃত্যুর বিষয়টিও কভার করছে। তবে বীমাকারীর বয়স ১৮-৫০ বছরের মধ্যে হওয়া উচিত। আপনার পরিচিত কেউ যদি করোনার কারণে মারা গিয়েছেন এবং যদি তারা ২০২০-২১ অর্থবছরে এই বীমা কিনে থাকেন তবে মনোনীত ব্যক্তি সহজেই ২ লক্ষ টাকা পাবেন। এই স্কিমটি প্রতি বছর ১ জুন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চলে।

এটি একটি মেয়াদি বীমা পরিকল্পনা এবং বার্ষিক ৩৩০ টাকার প্রিমিয়াম দিতে হয়। ১৮-৫০ বছরের মধ্যে কোনও ব্যক্তি এটি কিনতে পারেন এবং এটি ২ লক্ষ টাকার কভারেজ দেয়। যদি আপনার পরিবারের কেউ করোনায় মারা যায় এবং তারা এই স্কিমটিতে বিনিয়োগ করে রাখে, তবে মৃত্যুর এক মাসের মধ্যেই এই টাকার দাবি করতে হবে। প্রকল্পে নাম নথিভুক্তের ৪৫ দিন পর থেকেই কেবল বীমা নেওয়া যেতে পারে।সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে –

১.একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র একটি বীমা সংস্থা এবং একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে।
২. স্কিমটি মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তি যদি বার্ষিক প্রিমিয়াম দিয়ে সুস্বাস্থ্যের সেল্ফ ডিক্লারেশন দিয়ে থাকেন, তবে সেই ব্যক্তি পুনরায় স্কিমটি চালু করতে পারবে।
৩. PMJJBY-এর টাকা নিতে হলে মনোনীত ব্যক্তির রেজিস্টার্ড ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে হবে। বীমা করা ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট এবং একটি ক্লেম ফর্ম জমা দিতে হবে।
৪. প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার পরে, মনোনীত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্লেম করা টাকা ট্রান্সফার হবে।
৫. বীমাকারীর ৫৫ বছর বয়স হওয়ার পরে বীমা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়ে যাবে।
৬. এই বীমা কেবলমাত্র মৃত্যুকে কভার করে থাকে।
৭. এতে কোনো ম্যাচুরিটি বেনিফিট নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.