নন্দীগ্রামের ভোট গণনা নিয়ে আগেই আদালতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গোটা রাজ্যের ভোট গণনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুরলীধর সেন লেনে ধর্নায় বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধী নেতারা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “অনেক গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-র এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারচুপি হয়েছে। তার ফলেই বিজেপি ১০০-র কম আসন পেয়েছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।’’
কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও গণনা সুষ্ঠু ভাবে করতে পারেনি কমিশন। বহু গণনা কেন্দ্রে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।” মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর গণনা কেন্দ্রে এবার কোভিড বিধি নিয়ে ব্যাপক কড়াকড়ি করেছিল কমিশন। শুভেন্দু তা নিয়েও মুখর হয়েছেন এদিন। তাঁর কথায়, “‘প্রতিটি গণনা টেবিলের মধ্যে ৬ ফুট করে দূরত্ব রাখা হয়েছিল। ফলে অনেক জায়গায় এজেন্টরা সঠিক ফলাফল দেখতেই পাননি।”
এখানেই থামেননি শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেছেন, গণনা কেন্দ্রে যদি কারচুপি না হত তাহলে সরকার না গড়তে পারলেও ১০০-র বেশি আসন পেত বিজেপি। ভোট দাঁড়াত আড়াই কোটিতে। শুভেন্দু এদিন বলেছেন, সব ইভিএম গণনার দাবি বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামে পুণর্গণনার দাবি জানিয়েছেন, সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন সেখানকার রিটার্নিং অফিসারকে জীবনশ্নকার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে তখন ভোট হওয়া ২৯২টি কেন্দ্রের ইভিএম ফের গ্ণনার দাবি তুললেন শুভেন্দু। এ নিয়ে বিজেপি কবে আদালতে যায় বা আদালত কী বলে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।