মারাঠা সংরক্ষণ আইন অসাংবিধানিক, আইন বাতিল করল শীর্ষ আদালত

 শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে মারাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে দাবিকে নস্যাৎ করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মারাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের জারি করা আইনকে অসাংবিধানিক। এসইবিসি আইন সমান অধিকারের নীতিকে লঙ্ঘন করে।বুধবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তাঁরা হলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি এস আবদুল নাজির, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট। পাঁচ বিচারপতিদের সংবিধান বেঞ্চ বুধবার স্পষ্ট জানিয়েছে, মারাঠা সম্প্রদায়কে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা সঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্ট  মহারাষ্ট্রের এসইবিসি আইনকে বাতিল করেছে। মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের নীতি প্রণয়ন করা হয়। মারাঠাদের শিক্ষার দিক থেকে ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করে। তবে আদালত এও জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের জারি করা এই নিয়মের আওতায় যারা সংরক্ষণ কোটায় স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছে তার কেরিয়ারে কোনও প্রভাব পড়বে না। এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্র সরকার যে আইন পাশ করেছে তা সমান অধিকারের নীতি লঙ্ঘন করে। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের একটি রায় দিয়েছিল। তা ছিল অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য। সেই রায়ের পুনর্বিচারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলা ইতিমধ্যেই বম্বে হাইকোর্টে উঠেছিল। মহারাষ্ট্র সরকারের এই সংরক্ষণ নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক সংগঠন বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বম্বে হাইকোর্টে মারাঠা সরকারের পাশেই দাঁড়ায়। এরপর আবেদনকারীরা মামলা সুপ্রিম কোর্টে টেনে নিয়ে যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.