আইপিএল-এর জৈব সুরক্ষা বলয়েও হানা দিয়েছে কোভিড। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির থেকে শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস- একের পর এক বিভিন্ন দলের শিবিরে থাবা বসিয়েছে কোরোনা ভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছে দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ অনেকেই। তবে এই কঠোর জৈব সুরক্ষার বলয়কে ভেদ করে কীভাবে ভাইরাস হানা দিল তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই সামনে এসেছে নয়া তথ্য। সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত যে নিয়ম নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল তা লঙ্ঘন করা হয়েছিল গত সপ্তাহে।
বায়ো-বাবল প্রোটোকল যাতে উল্লঙ্খন না হয়, কিংবা বায়ো-বাবলের মধ্যে ক্রিকেটারদের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য একটি জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসের (FOB) বন্দোবস্ত ছিল বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি শিবিরে। অথচ শেষমেষ জানা যায় তা সঠিকভাবে কাজে দেয়নি। এই কারণে গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত বরুণ চক্রবর্তীর গতিবিধিও নজরে রাখা যায়নি ঠিকঠাক। অফিসিয়াল রিপোর্টে কাঁধের স্ক্যান করাতে হাসপাতাল যাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও পরে জানা যায় পেটের সমস্যার কারণে হাসপাতাল গিয়েছিলেন নাইটদের মিস্ট্রি স্পিনার।
এরপর তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে দলের পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়রের সঙ্গে বসে খাবার খান। এরপর দুই ক্রিকেটার দলের বাকিদের সাথে প্র্যাক্টিসের জন্য রওনা দেন। সেখানেই বরুণ জানান তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। ফলে তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। এবং সন্দীপ বাকিদের সঙ্গে চুটিয়ে অনুশীলন করেন। সেখানে দিল্লি ক্যাপিটালস দলেরও নেট সেশন চলছিল একইসঙ্গে।
কেকেআর এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের প্র্যাক্টিস সেশন একসাথে পড়ে যাওয়ায় আর এখানেই নিয়মভঙ্গ হয় আরও একবার। প্রাক্টিসের সময় ও হোটেলের জন্য রওনা হওয়ার আগে সন্দীপ দিল্লির স্পিনার অমিত মিশ্রর সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। এরপর টিম হোটেলে ফিরে এসে অমিত মিশ্রও জানান তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।
এরপর তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয় ও তাঁর টেস্ট করা হলে ফল আসে পজিটিভ। তবে এরপর দলের তরফ থেকে বাকিদের টেস্ট করা হলে তাঁদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভই আসে।