সঙ্কটের মেঘ কাটার কোনও ইঙ্গিত নেই এখনও। এই আবহে নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’(এমস)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপর্যস্ত ভারতবাসীকে তাঁর বার্তা, অদূর ভবিষ্যতেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দেশে।
অতিমারির মোকাবিলায় সাপ্তাহান্তিক লকডাউন, আংশিক লকডাউন বা রাত্রীকালীন কার্ফুর মতো দাওয়াইয়ে কোনও কাজ হবে না বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে দীর্ঘকালীন লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে।
গুলেরিয়া মঙ্গলবার বলেন, ‘‘৩ টি বিষয়ে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। প্রথমত, হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে জোর দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংক্রমণ ঠেকাতে অতিসক্রিয়তা দেখাতে হবে। তৃতীয়ত, টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে।’’ অক্সিজেন সরবরাহের মতো আপৎকালীন বিষয়গুলিতে আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণ লকডাউন জারি করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছেন এমস প্রধান। পাশাপাশি, মানুষের জীবিকা এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই গুলেরিয়া সতর্ক করেছিলেন, করোনার ভারতীয় প্রজাতি অন্যগুলির চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। শুধুমাত্র দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়ানো নয়, ভাইরাসের ভারতীয় রূপ ক্ষেত্র বিশেষে বেশি বিপজ্জনক বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।