দেশে অতিমারীর জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলি শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৫ মে থেকে, যা করোনা অতিমারীর কারণে ছাত্রদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছিল পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলে নেওয়া হবে এই পরীক্ষা। সেই কথা অনুসারে আগামী ১ জুন থেকে শুরু করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষাগুলি। সময়সূচি শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ২০২১ সালের মে জুনের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা এবং সেমিস্টারগুলি ১৫ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের অতিমারীর কারণে তা দুটি সপ্তাহ পিছিয়ে ১ জুন থেকে শুরু করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তিতে আরও যুক্ত করে বলে হয়েছে, ১৫ তারিখে আয়োজিত পরীক্ষার তালিকাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ছাত্রদের সুবিধার জন্য আগামী কোন কোন তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় তরফে। চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার সমস্ত সময়সূচি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার পোর্টাল exam.du.ac.in ঠিকানায় প্রকাশ করা হবে।
করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিলের জন্য শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মহল সকলে উপাচার্যের কাছে ঠিঠি পাঠায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সিদ্ধান্তের জন্য উপাচার্য পিসি জোশিকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (ডুটা)। ভার্সিটি উপাচার্য পিসি জোশিকে চিঠিতে করোনা মহামারীর সময়ে একাধিক শিক্ষক এবং ছাত্র সংক্রমিত হওয়ার ফলে সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল ডুটার তরফে। এর পাশাপাশি সমিতি করোনায় ছাত্রদের উপস্থিতির হার তুলে ধরেছিল তাদের চিঠিতে। তারা জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র এবং তাদের পরিবার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। ক্লাসগুলোতে দিন দিন উপস্থিতির হার হ্রাস পাচ্ছে। এই কারণে ডুটা ছাত্রদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে উপস্থিত না থাকতে পারার কারণে ক্লাসগুলো স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে।
এর পাশাপাশি ডুটার দেওয়া চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারী সকলের জীবনের ওপরে প্রভাব বিস্তার করছে, যার মোকবিলা করতে কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে সকলকে। এই মহামারীর সময়ে মানুষের জীবনে চাপ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানিকটা সংবেদনশীল হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।