দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা। এই অবস্থায় মেডিক্যাল পড়ুয়া ও শিক্ষানবিশ ডাক্তারদের কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে বলেই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় যাতে হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যা কম না হয়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষানবিশ ডাক্তার ও মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল বর্ষের পড়ুয়াদের প্রয়োজন পড়লে কাজে লাগানো যাবে। টেলিফোনে কোভিড রোগীদের পরামর্শ দেওয়া কিংবা মৃদু উপসর্গ যুক্ত রোগীর চিকিৎসার মতো কম ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব তাঁদের দেওয়া যেতে পারে। তবে সিনিয়র ডাক্তারদের অধীনে কাজ করবেন তাঁরা’।
একই রকম ভাবে বিএসসি নার্সিং ও জিএনএম (জেনারেল নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফ) ডিগ্রিধারীদেরও করোনা চিকিৎসায় কাজে লাগানো যাবে বলেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও তাঁরাও চিকিৎসকদের অধীনেই কাজ করবেন।
স্নাতকোত্তর স্তরের ডাক্তারিতে ভর্তির পরীক্ষা দ্বিতীয় বার পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ অগস্টের আগে এই পরীক্ষা হবে না। যদিও পরীক্ষার আগে মাসখানেক সময় দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে সব ডাক্তার ও নার্স কোভিড চিকিৎসায় ১০০ দিন কাজ করেছেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে।