রবিবার দুপুর অবধি অসমে যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যায়, বিজেপি জোট এগিয়ে আছে ৮০ টি আসনে। ৪৬ টি আসনে এগিয়ে আছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। অসমে গরিষ্ঠতা পেতে হলে চাই ৬৪ টি আসন। সুতরাং বলা যায়, বড় কোনও অঘটন না ঘটলে উত্তর পূর্বের ওই রাজ্যটিতে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। রাজ্যে এই প্রথম কোনও অকংগ্রেসি দল পরপর দু’বার সরকার গঠন করবে। সেই ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে বিজেপি।
অসমে ভোট হয়েছিল তিন দফায়। ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল ও ৬ এপ্রিল ওই রাজ্যের মানুষ ভোট দেন। বিজেপি জোট বেঁধেছে অসম গণ পরিষদ, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল এবং গণ সুরক্ষা পার্টির সঙ্গে। এবার দু’দিক থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল বিজেপি। প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল কংগ্রেস জোটের কাছ থেকে। কংগ্রেসের শরিক ছিল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট, বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট, আঞ্চলিক গণ মোর্চা, সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআই এমএল। দ্বিতীয়ত সদ্যগঠিত দু’টি দল অসম জাতীয় পরিষদ ও রায়জোড় দলের থেকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে অসমে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ওই দু’টি দলের জন্ম হয়।
বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, অসমে ফিরছে সর্বানন্দ সোনওয়ালের সরকার। কিন্তু বলা হয়েছিল, ২০১৬ সালের তুলনায় আসন কমবে। বিজেপি লড়াই করেছিল ৯২ টি আসনে। অসম গণ পরিষদ লড়াই করেছিল ২৬ টি আসনে। কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ৯৪ টি আসনে।
এদিন তামিলনাড়ুতে পিছিয়ে পড়ছে বিজেপির জোটসঙ্গী এডিএমকে। ১২৬ টি আসনে এগিয়ে আছে ডিএমকে। এডিএমকে এগিয়ে আছে ৯৬ টি আসনে।
এক দশক তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় নেই ডিএমকে। এবার দল লড়াই করেছে এম কে স্ট্যালিনের নেতৃত্বে। তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে দুই বর্ণময় ব্যক্তিত্ব এম কে করুণানিধি ও জে জয়ললিতা প্রয়াত হয়েছেন। তাঁরা না থাকায় অনেকাংশে বদলে গিয়েছে দক্ষিণের ওই রাজ্যটির ভোটচিত্র। তামিলনাড়ুতে সাধারণত প্রতি ভোটে সরকার বদল হয়। পালা করে ক্ষমতায় আসে ডিএমকে এবং এডিএমকে। কিন্তু ২০১৬ সালে জয়ললিতার নেতৃত্বে এডিএমকে দ্বিতীয়বার ভোটে জেতে।
রবিবার চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত বাদে দেশে দু’টি লোকসভা ও ১৪ টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও ভোটগণনা হচ্ছে। লোকসভা আসন দু’টি রয়েছে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বিধানসভা আসনগুলি ছড়িয়ে আছে ১১ টি রাজ্যে।