ভোট শেষ হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই এবার দেশবাসীর চোখ ভোটের ফলাফলের দিকে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। সর্বত্র ভোটগণনা শুরু হয়েছে সকাল আটটা থেকে, হয়তো বিকেলের মধ্যেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, কোন রাজ্য কোন রাজনৈতিক দলের দখলে যেতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে এবার ৮ দফায় হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনে ভোট হয়েছে। সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা-সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অসমে ভোট হয়েছে ৩ দফায় এবং তামিলনাড়ু, কেরল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে ভোট হয়েছে এক দফায়, গত ৬ এপ্রিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।
উপ-নির্বাচনেরও ভোটগণনা এদিন অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি, কর্ণাটকের বেলগাম, কেরলের মালাপ্পুরাম এবং তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী সংসদীয় আসনের জন্যও ভোটগণনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ১০টি রাজ্যে বিধানসভা উপ-নির্বাচনেরও ভোটগণনা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ : পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৭ মার্চ, দ্বিতীয় দফার ভোট হয়েছে ১ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ ৬ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে ১০ এপ্রিল, পঞ্চম দফার ভোট ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফার ভোট হয়েছে ২২ এপ্রিল, সপ্তম দফার ভোট হয়েছে ২৬ এপ্রিল এবং বঙ্গে অষ্টম তথা অন্তিম দফার ভোট হয়েছে ২৯ এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ মে, পশ্চিমবঙ্গে মোট আসন সংখ্যা ২৯৪। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ২৯২টি আসনে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এর জন্য ২৩টি জেলায় তৈরি করা হয়েছে ১০৮টি গণনাকেন্দ্র। প্রতি কেন্দ্রে এক বা তার বেশি আসনের গণনা হচ্ছে। প্রথমে ব্যালট পেপার গণনা হচ্ছে। তারপর শুরু হবে ইভিএমের গণনা। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৪৮। হটসিট নন্দীগ্রামের দিকেই সবথেকে বেশি রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
অসম : অসমে তিন-দফায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৭ মার্চ, দ্বিতীয় দফা ১ এপ্রিল এবং তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে ৬ এপ্রিল। অসম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে, অসমে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১২৬। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৬৪।
তামিলনাড়ু : গত ৬ এপ্রিল এক-দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ুতে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মে, সেখানে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২৩৪। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৮।
কেরল : কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে ৬ এপ্রিল। কেরল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১ জুন, কেরলে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৪০। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৭১। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে পুথুপ্পাল্লি গির্জায় প্রার্থনা করেছেন কংগ্রেস নেতা এবং কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি। তিনি পুথুপ্পাল্লি বিধানসভা আসনের প্রার্থী।
পুদুচেরি : কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হয়েছে। পুদুচেরিতে মোট আসন সংখ্যা ৩০। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৭।