গোটা দেশে একটাই নির্বাচন। একই সঙ্গে লোকসভা ও সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দাবির পক্ষে অনেক আগে থেকেই সওয়াল করে আসছেন তিনি। তবে তিনিই প্রথম নন, অতীতেও এই দাবি উঠেছে দেশে। কিন্তু সফল হয়নি। জেনে নিন এই ইস্যু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১০ তথ্য–
১। ১৯৮৩ সালে প্রথম নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তাব রাখে। বলা হয়, দেশে একই সঙ্গে লোকসভা ও সব বিধানসভায় নির্বাচন হোক। কিন্তু সেই সময়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার।
২। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পরে ফের আলোচনায় আসে বিষয়টি। খোদ প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবস্থা চালুর পক্ষে সওয়াল করেন।
৩। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবস্থার প্রস্তাব করার পরে নীতি আয়োগ উদ্যোগী হয়। ২০১৭ সালে কী ভাবে কার্যকর করা সম্ভব তা জানায়।
৪। ২০১৮ সালে ল কমিশন জানায় এটা করতে হলে সংবিধানে কমপক্ষে পাঁচটি বদল আনতে হবে। এর পরে আর বিষয়টি নিয়ে কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি।
৫। এই নীতির বিরোধীদের বক্তব্য, ভারতে ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, কোনও সরকার পূর্ণ সময় ক্ষমতায় থাকতে না পারলে গোটা ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে।
৬। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়েই এই নীতি কার্যকরের প্রস্তাব এসেছিল। সেক্ষেত্রে কথা হয়েছিল, দুই পর্বে দেশে নির্বাচন হবে। ২০১৮ বা ২০১৯ সালে নির্বাচন রয়েছে এমন একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও ১২টি রাজ্যে লোকসভার সঙ্গে ভোট করার প্রস্তাব ছিল। বাকি রাজ্যগুলিতে ২০২১ সালের শেষ দিকে ভোট করার প্রস্তাব ছিল। এটা কার্যকর হলে প্রতি পাঁচ বছরে দেশ মোট দু’বার নির্বাচনের মুখোমুখি হবে।
৭। এই নীতির দাবিদারদের প্রধান বক্তব্য, এই ভাবে নির্বাচন হলে দেশের ভোট-বাবদ খরচ অনেক কমে যাবে।
৮। এছাড়াও তাঁরা মনে করেন, বারবার নির্বাচন হওয়ায় শাসক দল উন্নয়নের দিকে ভালো ভাবে নজর দিতে পারে না।
৯। বিরোধীদের বক্তব্য, দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হয় আলাদা আলাদা ইস্যুতে। ফলে এক সঙ্গে ভোট হলে ভোটারদের রায় যথাযথ হবে না।
১০। ল কমিশন রিপোর্টে দাবি করেছিল, এক দেশ, এক ভোট চালু করতে পারলে ভোট বেশি পড়বে। ভোটাররা বেশি করে নির্বাচনে সামিল হতে চাইবেন।