দেশের বাইরে টিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট, এমনটাই জানানো হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। সংস্থার চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে কোভিশিল্ডের জোগান দিতে সমস্যা হচ্ছে। আরও উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমকে আদার বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সংস্থার তরফে একটি ঘোষণা করা হবে।’’ যদিও কী ঘোষণা করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি আদার।
গত সপ্তাহে সিরাম কর্তা বলেছিলেন, জুলাই মাসের মধ্যে মাসিক ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। যদিও পরে তিনি জানান, মে মাসের মধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বার্ষিক উৎপাদন মাত্রা ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিরাম।
ভারতে দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে গত দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ জনের। গত চারদিন ধরেই দেশে মৃত্যু হচ্ছে তিন হাজারের বেশি। এ ভাবে বাড়তে বাড়তে ২ লক্ষ পেরিয়েছে মোট মৃতের সংখ্যা। করোনার জেরে দেশে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জন।
এই সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। শনিবার থেকে দেশ জুড়ে তৃতীয় পর্যায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রের ঘোষণার পরেও একাধিক রাজ্য জানিয়েছে, শনিবার থেকে টিকাকরণ শুরু করতে পারছে না তারা। কারণ পর্যাপ্ত টিকা এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। এই কারণেই টিকার উৎপাদন বাড়ানো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।