মহামারী যে হারে বাড়ছে তাতে মানুষের মনে আতঙ্ক দ্বিধা এবং প্রশ্ন বেড়েই চলেছে ভ্যাকসিন নিলেও অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে সেই ভ্যাকসিন কাজ করছে তো?
এর কারণ হলো অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও অনেকে ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (side effects) দেখা যাচ্ছে। তাতে তারা আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিনের এই সাইড এফেক্ট (side effects) থেকেই আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে সেই ডোজ আপনার শরীরে কাজ করছে কিনা। আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ভ্যাকসিন ব্যক্তির হাতে দেওয়া হলে তা একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে।
কখনো কখনো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরে হয়তো হাতে একটু যন্ত্রণা হয় আবার অনেকের ঠান্ডাও লাগে। তবে এর অর্থ আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immune system) কাজ করতে শুরু করেছে।
আরো পোস্ট- করোনায় ফুসফুসই নয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো অঙ্গ! সঙ্কেত চিনুন
ভ্যাকসিন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের ভেতরে থাকা কোভিড-১৯ স্পাইক প্রোটিন শনাক্তকরণের এবং এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি (antibody) তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হওয়ার পরে তা এই প্রোটিন ভাইরাসটিকে দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ার থেকে আটকে দেয়।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন বহু মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (side effects) দেখা দেয়। ভ্যাকসিন এর পরবর্তী দ্রুত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (side effects) হিসেবে যে জায়গায় ইনজেকশন লাগানো হয়েছে সে জায়গাটি লাল হয়ে থাকা বা সেই জায়গা ফুলে যাওয়া এবং যন্ত্রণা হওয়া, দ্রুত ক্লান্তিভাব আসা, মাথা ব্যাথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা লাগার কথা বলা হয়েছে।
তবে যাদের শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (side effects) দেখা যায়নি তারা এটা ভাববেন না যে সেই ভ্যাকসিন আপনার শরীরে কোনো প্রভাব ফেলেনি। অনেকের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের তুলনায় দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এর কারণ হিসেবে বলা হয় যে প্রথমবারের পরে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immune system) সেই ভাইরাসটিকে শনাক্ত করতে পেরেছে এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে সেই ভাইরাস দ্রুত যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তার বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করেছে ভ্যাকসিন।
এর সাধারণ লক্ষণ হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, দ্রুত ক্লান্তি এবং শরীরের নানা অংশে ব্যথা অনুভূত হয়।