অতিমারি নিয়ে নেটমাধ্যমে নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করা উচিত নয়, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

করোনা আবহে রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার করার জন্য দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্টের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুজু করা একটি মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘এটা রাজনীতির সময় নয়’।

তিন বিচারপতি বেঞ্চ শুক্রবার অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারকে বলেছে, ‘ভোটের সময় রাজনীতি করবেন। এখন মানুষের জীবন বিপন্ন’। পাশাপাশি, কেন্দ্রকেও দিল্লির প্রতি বিশেষ দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক অবস্থার ‘ছোট প্রতিচ্ছবি’ দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। দিল্লি সরকারের তরফে অতিমারি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বেঞ্চকে। কেন্দ্রের প্রতিনিধি সুনীতা দাওরা শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনা পেশ করে জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে দিল্লি-সহ প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ভারসাম্য রেখেই অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও একাধিক বার কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের সরকার। দিল্লি সরকারের তরফে অক্সিজেন ও টিকা সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। আবার চলতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্ব করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটল টেরিটরি অব দিল্লি (সংশোধিত)’ বা জিএনসিটিডি আইনটি বলবৎকরা হয়েছে। এর ফলে দিল্লির নির্বাচিত আম আদমি পার্টির সরকারের তুলনায় বেশি ক্ষমতা ভোগ করবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল অনিল বৈজল। কারণ, এর পর থেকে কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে হলে কেজরীর সরকারকে উপরাজ্যপালের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.