১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ প্রক্রিয়ার পর তৃতীয় দফার টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যদিও এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন বেছে নেওয়ার বিকল্প দেওয়া হয়নি। জনগণকে সেই ভ্যাকসিন নিতে হত যে ভ্যাকসিনটি মজুত আছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তবে এখন ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সের লোকদের বেসরকারী কেন্দ্রে ভ্যাকসিন বেছে নেওয়ার বিকল্প থাকবে।কথাটি জানিয়েছে কো-উইন অ্যাপের চিফ আরএস শর্মা।
কো-উইন অ্যাপের চিফ আরএস শর্মা স্পষ্ট জনিয়েছেন যে, ভ্যাকসিন বেছে নেওয়ার বিকল্পটি কেবলমাত্র বেসরকারি কেন্দ্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সরকারী কেন্দ্রে এখনও যে ভ্যাকসিন মজুত থাকবে তার ভিত্তিতে টিকাকরণ করতে হবে। তবে এই বিষয়টি নজর রাখতে হবে যে, প্রথম যে কোম্পানির ডোজটি নেওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজও যেন সেই একই কোম্পানির হয়। পাশাপাশি বেসরকারী কেন্দ্রগুলিকে জানাতে হবে তাদের কোন ভ্যাকসিনটি মজুত আছে এবং তার দাম কত। কো-উইন অ্যাপে বেসরকারী কেন্দ্রগুলিতে কোন ভ্যাকসিন আছে এবং এর মূল্য প্রদর্শিত হবে।
উল্লেখ্য, ১ মে থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থা তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে আর ৫০ শতাংশ রাজ্য ও বেসরকারি সংস্থাকে দেবে।এর মাধ্যমে, কেন্দ্রীয় সরকার ৪৫ বছর বয়সের বেশি মানুষ, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা প্রদান চালিয়ে যাবে। প্রথমে সরকারি কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, বেসরকারী কেন্দ্রগুলিতে ডোজ প্রতি ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল।
১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সের লোকদের টিকা দেওয়ার জন্য কিনতে হয়।তবে, বহু রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে এই বয়সের লোকদের সরকারী কেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। ১ মে থেকে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ড কেনার জন্য রাজ্যগুলিকে দিতে হবে ৩০০ টাকা।ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের দাম ৪০০ টাকায় কিনতে হবে।
তৃতীয় দফার টিকাকরণের জন্যে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লি সরকার ঘোষণ করেছে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা নেই। প্রাইভেট কোম্পানির থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে তারা। অন্ধ্র সরকার দাবি করেছে সেপ্টেম্বরের আগে সম্ভব নয়।