করোনা মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক করবেন নমো। শুক্রবার ১১ টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা ও কী করে এর সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, এ নিয়েই আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে। করোনার সংক্রমণের চেন ভাঙতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই নিয়েও আলোচনা হতে পারে।সূত্রের খবর মোতাবেক, বেলা ১১ টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হবে। এদিনের বৈঠকে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
এর আগে সেনা বাহিনীর স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেও বৈঠক সেরেছিলেন মোদী। দেশের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিলিটারি হেডকোয়ার্টারে নিয়োগ হওয়া সমস্ত মেডিকেল অফিসারদের হাসপাতালে মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়। এতে মারাত্মক চাপে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর থেকে চাপ কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোদীকে চিফ অব দ্যা আর্মি স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানান, যে সব হাসপাতালে মারাত্মক ভাবে অক্সিজেন গ্যাসের প্রয়োজন, সেখানে ভারতীয় সেনার হাতে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে।
এছাড়া মোদীকে চিফ অব দ্যা আর্মি স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানান, যে সব হাসপাতালে মারাত্মক ভাবে অক্সিজেন গ্যাসের প্রয়োজন, সেখানে ভারতীয় সেনার হাতে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে দেশে সংক্রমণ ক্রমেই লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মে মাসে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে গিয়ে পৌঁছবে। দৈনিক করোনা গ্রাফ সেই কথাই প্রমাণ করছে। সংক্রমণে লাগাম টানা তো যাচ্ছেই না, বরং উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমণ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৭৬ জন। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এদিনও ৩ হাজারের উপর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৪০ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ০৮ হাজার ৩৩০। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন। এখনো পর্যন্ত ১৫ কোটি ২২ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৭৯ মানুষকে টিকাকরণ করা হয়েছে।