দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ, এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভায়াবহতা এখনও কমেনি। এর মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, জুলাই-অগস্ট মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাক্ষী থাকতে পারে মহারাষ্ট্র। দেশের মধ্যে এই রাজ্যের অবস্থা বর্তমানে সব থেকে খারাপ। এদিন মহারাষ্ট্রে ৬৬ হাজার ১৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৭১ জনের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে এদিন বলেন, মহারাষ্ট্র অক্সিজেনের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। মে মাসের শেষের দিকে বড় সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছতে পারে এই রাজ্য়। আর তারপরই জুলাই বা অগস্ট নাগাদ দেখা দিতে পারে তৃতীয় ঢেউ। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে করোনা ম্যানেজমেন্ট ও টিকাকরণ নিয়ে কথাবার্তা হয়। আলেচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী ১২৫টি PSA (pressure swing adsorption (PSA) plants (for generating medical oxygen) সেটআপ করার কথা বলেন। জেলাশাসকদের ইতিমধ্য়েই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনে সংকট কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার।

বর্তমানে মহারাষ্ট্রে রেমডেসিভিরের ঘাটতি রয়েছে। ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার রেমডেসিভির প্রয়োজন। তবে ঘাটতি থাকলেও প্রয়োজনে যাতে চিকিৎসকরা এই ড্রাগ ব্যবহার করেন, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তোপে বলেন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন যে তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের এই সময় কোভিড সম্পর্কিত সুবিধা দিতে অনুরোধ করেছেন। এও বলেছেন তাঁরা যদি আর্থিক সাহায্য করেন তবে তা CSR সরঞ্জামের জন্য ব্যয় করা হবে। তারা CSR সম্পর্কিত সমস্ত সুবিধা নিতে পারবে এবং এক্ষেত্রে রাজ্যের উপর আর্থিক বোঝাও কমে যাবে। এছাড়া অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপন, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের ব্যবস্থাও করছে রাজ্য়। এছাড়া সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই মেশিনের মতো চিকিৎসার সরঞ্জামগুলি জেলাগুলিতে সরবরাহ করতেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৭৬ জন। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এদিনও ৩ হাজারের উপর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৪০ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ০৮ হাজার ৩৩০। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.