করোনা বিধি মেনে শেষ দফায় ভোট দিতে রাজ্যের ভোটারদের মোদী-শাহের আর্জি

গণতন্ত্রের উৎসবে শেষ দফার ভোট হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। রাজ্যের ৪ জেলার ৩৫টি আসনের ভোটারদের করোনা বিধি মেনে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য ট্যুইট করে আহ্বান জানিয়েছেন দেশের প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে বাংলায় ট্যুইট করে বাংলার শেষ দফায় মানুষদের ভোট দানে অংশগ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শেষ তাঁর ট্যুইটটি বাংলায় করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আজ শেষ দফার নির্বাচন হচ্ছে। করোনা বিধি মেনে আপনারা ভোটের লাইনে দাঁড়ান। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা নিজেদের ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশগ্রহণ করুন।”

অমিত শেষ তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, “আজ বাংলায় অষ্টম দফার অর্থাৎ অন্তিম পর্বের নির্বাচন। আমি এই পর্বের সকল ভোটারদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে পূর্বের সাত দফা নির্বাচনের মতোই আপনারও বাংলায় উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে উৎসাহের সাথে অধিক সংখ্যায় ভোট দান করুন।”

এবারের রাজ্যের ৮দফা নির্বাচনের সবকটি দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে ভোটার দিন সকালে বাংলার মানুষদের ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে আপনারা আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে অংশগ্রহণ করুন। তৃতীয় দফার নির্বাচন পর্যন্ত দেশে ও রাজ্যে করোনার করাল থাবা এখনকার মতো ভয়াবহ ভাবে চেপে বসেনি। কিন্তু চতুর্থ দফা থেকে করোনা সংক্রমণ দেশে তথা রাজ্যে প্রবল ভাবে বেড়ে চলেছে। দেশের কয়েকটি রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে তাই এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আজ বৃহস্পতিবার শেষ অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন চলছে । তাই আমরা দেখেছি চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের ভোটারদের ভোট দিতে বলার পাশাপাশি করোনার জন্য সতর্ক থাকার বার্তাও দিয়েছেন। শেষ দফার নির্বাচনের ট্যুইটেও তাঁরা সেই বার্তার পাশাপাশি ৪ জেলার ৩৫টি আসনের ভোটারদের ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের সেরা উৎসবে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানালেন।

কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে যে পরিমাণ মানুষ দৈনিক করোনা সংক্রমণের কবলে পড়ছেন তাতে ভোটদান অষ্টম দফায় প্রথম ৬ দফার সমান হরে হবে কি না সেটা নিইয়ে নির্বাচন কমিশনের সংশয় রয়েছে। কেননা সাত দফার ভোটেই প্রথম ৬ দফার ভোটের তুলনায় কম হারে ভোট পড়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে সপ্তম দফায় দক্ষিণ কলকাতায় কম ভোট পড়েছে সপ্তম দফায়। অষ্টম দফায় উত্তর কলকাতায় ভোট রয়েছে। পাদশাপাশি কলকাতা রাজ্যের মধ্যে করোনা সংক্রমণে প্রথম স্থানে রয়েছে। তাই শেষ দফায় কতটা মানুষ গণতন্ত্রের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন সেটাই দেখার। কেননা মানুষের মধ্যে করোনার আতঙ্ক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.