রাত পোহালেই রাজ্যের শেষ দফার বিধানসভা নির্বাচন। কে রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে সেটা জানা যাবে আগামী ২ মে। তবে শেষ দফা নির্বাচনের ঠিক আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলন রাজ্যে বিজেপি-র ক্ষমতায় আসার দাবি নিশ্চিত করে জানালেন বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আর মাত্র কয়েকটা দিন। এর পর রাজ্যে এমন একটা সরকার প্রতিষ্ঠা হবে যারা ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করবে না। দুর্গাপূজা ও মহরমের মিছিল একই রাস্তা দিয়ে চলবে।” এর পাশাপাশি শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক অব্যবস্থা নিয়েও বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেন।
শমীক ভট্টাচার্যের কথা মতো রাজ্য রাজনীতিতে যদি ধর্মের নামে বিভাজন না থাকে তার চাইতে ভালো কিছু আর হয় না। কিন্তু বিভিন্ন সভা, সমিতিতে শমীকবাবুর দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মন্ডলস্তরের নেতারা রাজনীতির নাম করে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এখনও রাজনীতির নামে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা আংশিক সফল হলেও পুরোটা হতে পারেনি। তার থেকে মানুশকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে শমীক ভট্টাচার্য সঠিক বার্তাই দিয়েছেন।
রাজ্যে এখন করোনা বিপর্যয় চলছে। হাসপাতালে বেডের অভাব, দোকানে অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতাল, নার্সিংহোমেও সেই একই অবস্থা। মানুষের মধ্যে শুধু হাহাকার। বিনা অক্সিজেনে করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শমীকবাবু বলেন, “রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থা নিয়েছে। মানুষ দোকানে কোরোনার ওষুধ পাচ্ছেন না। অক্সিজেন, অক্সিমিটারের কালোবাজারি হচ্ছে। এর থেকে বার হতে হবে। আগামীকাল বিকেলের পর (পড়ুন বৃহস্পতিবার ) সব আক্রমণ প্রতিআক্রমণ শেষ হবে। এর পর এমন একটা সরকার আসবে যারা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের অবনতির কথা বলবে না। যে সরকার সবার মাথায় ছাদ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি বানাবে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর তৈরী করা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় গ্রামের সঙ্গে শহর জুড়ে যাবে। কেন্দ্র-রাজ্য বৈরীতা থাকবে না।”
তবে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় শেষ পর্যন্ত কারা আসবে সেটা ঠিক হবে আগামী ২ মে। ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত জনগণেশের রায় পড়েছে ইভিএম-এ । তারাই ঠিক করে দিয়েছে রাজ্যের শাসনভার কার হাতে যাবে। তাই যে যত দাবিই করুন না কেন, রাজ্যের শাসন কার হাতে যাচ্ছে জানা যাবে ২মে ।