‘নিজের ঘর ঠিকমতো গুছিয়ে নিন। যথেষ্ট হয়েছে। যদি আপনারা সামলাতে না পারেন, তাহলে কেন্দ্রকে আধিকারিকদের পাঠাতে বলুন। আমরা তাঁদের দায়িত্ব নিতে বলব।’ অক্সিজেনের আকাল নিয়ে মঙ্গলবার এই ভাষাতেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট।
একাধিক হাসপাতালের দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, মঙ্গলবার দিল্লি সরকারকে দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে একটি অক্সিজেন ভরতির প্লান্টের দায়িত্ব নিতে হবে। সেইসঙ্গে পাঁচটি সংস্থাকে অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ কড়া ভাষায় জানিয়েছে, দিল্লি সরকারের কাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। নিজের ঘর ঠিকমতো গুছিয়ে নিন। যথেষ্ট হয়েছে। যদি আপনারা সামলাতে না পারেন, তাহলে কেন্দ্রকে আধিকারিকদের পাঠাতে বলুন। আমরা তাঁদের দায়িত্ব নিতে বলব।’ আদালত আরও বলে, যাঁরা অক্সিজেনের কালোবাজারি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে যে অক্সিজেনের দাম একেবারে কম পড়ে, তা কালোবাজারির কারণে কয়েক হাজার বা লাখ টাকায় পৌঁছে না যায়।
এদিকে, যে সংস্থাগুলি অক্সিজেন ভর্তি করে, মঙ্গলবারের শুনানিতে সেই সংস্থাগুলি অনুপস্থিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। অক্সিজেন ভর্তি করার সঙ্গে যুক্ত থাকা সংস্থাগুলিকে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘আপনারা কালোবাজারির বিষয়ে জানেন? এটা ভালো মানবিক আচরণ?’ একইসঙ্গে অক্সিজেন ভর্তি করার সঙ্গে যুক্ত থাকা সংস্থাগুলিকে উপযুক্ত নির্দেশ না দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকারের প্রতিও অসন্তোষ গোপন করেননি বিচারপতিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই পুরো ‘বিশৃঙ্খলার’ সমাধান করতে পারেনি দিল্লি সরকার। সেই পরিস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ‘(ওখানে) আপনার আধিকারিকদের মোতায়েন করুন এবং ওদের চালাতে দিন। ওঁদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আপনাদের হাতে যাবতীয় আইনি ক্ষমতা আছে।’