মঙ্গলবার কিছুটা কমলেও দেশে এখনও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিনলক্ষাধিক । কোথাও মিলছে না বেড বা অক্সিজেন, আবার কোথাও পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ফের একবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে ওষুধ, অক্সিজেন-সহ সব তথ্য জানতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে তিনি। পরিস্থিতির মোকাবিলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির উপর বাড়তি জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেখানে ছিলেন ক্যাবিনটে সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তারা। এদিনের বৈঠকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেনের আকাল পড়েছে। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির উপর বাড়তি জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সদ্য পিএম-কেয়ারস ফান্ড থেকে দেশে ৫৫১ টি ‘প্রেসার সুই অ্যাবসর্পশন মেডিক্যাল অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট’ তৈরির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা দিয়ে দ্রুত প্ল্যান্ট তৈরি করার রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করতে বললেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের দাবি, গত আট মাসে প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে দেশের অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা।
এদিনের বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, অক্সিজেন, ওষুধের প্রাপ্যতার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয় মোদীকে। অক্সিজেন সংক্রান্ত বিষয়ে যারা কাজ করছেন তাঁরা এ দিন বৈঠকে জানিয়েছেন, কী ভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন জোগান দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যগুলিতে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠী জানিয়েছে, গত আট মাসে দেশে তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আগস্টে দেশে দৈনিক ৫,৭০০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদিত হত। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৯২২ মেট্রিক টন। চলতি মাসের শেষের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ৯,২৫০ মেট্রিক টন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্যও উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উচ্চপর্যায়ের গোষ্ঠী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের কমিটি মোদীকে জানিয়েছে যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে সাধারণ এবং আইসিইউ শয্যা প্রাপ্যতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে করোনার সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার উপরও। পাশাপাশি দেশের সর্বত্র করোনা সুরক্ষাবিধি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।