রাজ্যে অক্সিজেন সঙ্কট নেই। বরং অক্সিজেন সরবরাহের যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মোট সাড়ে ১২ হাজার কোভিড রোগীকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া যাবে। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে একটি বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ মে-র মধ্যে দৈনিক সাড়ে ১৫ হাজার রোগীকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন পরিষেবা দিতে পারবে রাজ্য।
নবান্ন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০৫টি সরকারি কোভিড হাসপাতালে পাইপলাইন দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৫ মে-র মধ্যে আরও ৪১টি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন পাইপলাইন বসানো হবে। তাতে আরও ৩ হাজার করোনা রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে।
রাজ্যে এই মুহূর্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ ছুঁই ছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার। নবান্নসূত্রে ওই বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে রাজ্যের যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে করোনা আক্রান্ত ১২৫০০ রোগীকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া যাবে। এছাড়া রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৫৫টি নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট (পিএসএ) তৈরি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও পিএসএ প্ল্যান্ট বসানোর অনুরোধ করেছে। যাতে লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানো যায়। জানিয়েছে নবান্ন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, রাজ্য জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিকরা নিজেরাই সিএমএস অনুমোদিত হারে অর্থ দফতরের নির্দেশ মেনে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবেন। এমনকী অক্সিজেনের পাইপলাইন সম্প্রসারণের কাজও করতে পারবেন।
এ ছাড়া আপাতত কয়েকটি বড় মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে আপৎকালীন ভিত্তিতে লিক্যুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। নবান্নের কথা মতো, তাতে বড় হাসপাতালগুলিতে বাণিজ্যিক অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলি নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে।