USA কোভিশিল্ডের কাঁচামাল রপ্তানীতে নিষেধাজ্ঞা জারী করার পরে অনেকের মধ্যে চাপা উল্লাস লক্ষ্য করছিলাম। এবার মোদী ফাঁফরে পড়েছে। ভারতে টিকাকরণ আর করা যাবে না। দেশবাসীর ক্ষোভ বাড়বে। ফলে বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে পারবে। কিন্তু বিরোধীদের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। একদিন পরেই খবর এল মূখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সাথে আলোচনার পরে আমেরিকা ফের কোভিশিল্ডের কাঁচামাল ভারতে পাঠাতে সম্মত হয়েছে। ফলে ভ্যাকসিনেশন আগের মতোই চলবে।
শোকে মুহ্যমান বিরোধীরা নামালেন নতুন এক থিওরী। এই রকমভাবে ভিক্ষাসম টিকা পাওয়াতে কোন কৃতিত্ব নেই। বাইডেনের পায়ে পড়ে কেঁদে কেটে কোন রকমে ভারতে কাঁচামাল আনতে হচ্ছে মোদীকে। আচ্ছা বলুন তো, মোদীজি কি নিজের জন্য বাইডেনকে অনুরোধ করেছিলেন ? একজন প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের প্রিয় কোটি কোটি দেশবাসীর প্রাণ বাঁচাতে অন্যদেশের রাস্ট্রপ্রধানের সাথে আলোচনা করে ভ্যাকসিনের কাঁচামাল আনেন তবে তাঁকে কেন সমালোচনা করা হবে ?
আমাদের দেশের বিরোধীদের মতো জঘন্য নীচু মানসিকতার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আর কোন দেশে আছে বলে মনে হয় না। এরা জানে শুধু মিথ্যা প্রচার করতে আর নিজের দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করতে। এরা অনবরত প্রচার করে মোদী 15 লাখ টাকা কেন দিল না? হাততালি দিয়ে কি করোনা রোগ দূর হয় ? কিন্তু মোদীজি কবে বলেছিলেন আমি সব দেশবাসীকে 15 লাখ টাকা করে দেব বা হাততালি দিলে করোনা চলে যাবে তার কোন প্রমাণ দিতে পারেন না। দেশের ডাক্তার নার্সরা যখন নিজেদের জীবন বিপন্ন করে করোনার সাথে লড়ছিলেন তখন ওনাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য মোদীজি দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন একদিন একসাথে করতালি করুন। এতে কোন জোরজবরদস্তি ছিল না। যার ইচ্ছে হাততালি দিয়েছেন। যার ইচ্ছে নয় হাততালি দেন নি। ভারত সৌদি আরব, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া সহ মুসলিম দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পাঠালে সেটা কোন কৃতিত্ব নয়। কিন্তু সৌদি মুসলিম দেশ হয়েও ভারতে অক্সিজেন পাঠালে সেটা বিরোধীদের চোখে বিরাট কৃতিত্বের বিষয় ! বিরোধীদের এহেন আচরণ দেখে আজকাল “ছিঃ” বলতেও ইচ্ছে করে না।
ব্যামাখ্যাপা