সংক্রমণের হার মারাত্মক হলেও মৃত্যু কম করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে, বলছে পরিসংখ্যান

সংক্রমণের অভিঘাত প্রবল। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। দেশ জুড়ে করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন রূপে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠছেন। মৃত্যুর হার ১ শতাংশের সামান্য বেশি। সামগ্রিক ভাবে সঙ্কটের সময় যা যথেষ্ট ‘আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যান’ বলে দাবি করছেন তাঁরা।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ। ক্রমাগত জিনের বিবর্তনের মাধ্যমে ভাইরাসের নতুন রূপগুলি অনেক বেশি সংক্রামক হয়ে উঠছে। কিন্তু নতুন রূপগুলি আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান ঘেঁটে এমনটা বলা যাবে না। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও সুস্থতার হার (ডিসচার্জ রেট) পৌঁছে গিয়েছে ৯৮.৮৮ শতাংশে।

কিন্তু সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সংক্রমণের প্রথম পর্বের তুলনায় মৃত্যুর মোট সংখ্যাও বেশি হচ্ছে। তবে এপ্রিলের শেষ পর্বে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও ৩টি অতি সংক্রমিত অঞ্চলে (হটস্পট) কিছুটা হলেও ‘স্থিতাবস্থা’ দেখা দিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ় এবং দিল্লি। মনে করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট তিন এলাকায় দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছনোর পরেই এই ‘স্থিতাবস্থা’।

গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, নসোমবার দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৮১২ জন। সামগ্রক ভাবে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ, মৃত্যুর হার ১.১২ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.