দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদা। হাসপাতালে বেড নেই বললেই চলে। বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে জীবনদায়ী রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন বিক্রির বিষয়ে কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যদফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্যে রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল।
নবান্ন থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা রোগীর জন্যে ওষুধ সরবরাহ করার দায়িত্ব হাসপাতালের। নির্দেশিকা অনুসারে কোনো হাসপাতাল করোনা রোগীর আত্মীয়কে প্রেসক্রিপশন দিতে পারবে না। হাসপাতালের দায়িত্ব ওষুধের ব্যবস্থা করা।ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকার রোগীদের রেমডেসিভির বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।ইঞ্জেকশনগুলি সরাসরি হাসপাতালে সরবরাহ করতে হবে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল, অক্সিজেন পেতে হলে রোগীর পরিজনকে করোনা পজিটিভ হওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে বলে নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগে শুধু চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখলেই দোকান থেকে অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছিল।রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার সেই অর্থে না চললেও ঘাটতি রয়েছে জনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড কেউ সামান্য করোনা সংক্রমণ হলে আটকে রাখবেন না। বেসরকারি হাসপাতালেও বেড ও অক্সিজেন বিষয়ক জরুরি নির্দেশিকা রাজ্যের তরফে জারি করা হয়েছে।
রাজ্যে শনিবার করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৪ হাজারের গন্ডি পার করেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ জন। রোজ প্রচুর পরিমাণে মানুষ করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালের দরজায় গিয়েও বেড পাচ্ছেন না। প্রয়োজনে অক্সিজেন না পেয়ে কলকাতা, নদিয়ায় শ্বাসকষ্টে প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের বেশ কয়েকজন সহনাগরিক।
অপরদিকে বাড়ির বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। জনবহুল এলাকায় কাজের জন্য কেউ বাইরে বের হলে মাস্ক পড়া ও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মেনে পদক্ষেপ করার নির্দেশ নবান্নের। শনিবার এই মর্মে একট নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও এব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।