পিএম কেয়ার্স ফান্ডের সাহায্যে প্রতি জেলায় অক্সিজেন কারখানা, টুইটে ঘোষণা মোদীর

চিকিৎসার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় তৈরি করা হবে অক্সিজেন উৎপাদক কেন্দ্র। দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রবিবার টুইটারে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ‘পর্যাপ্ত অক্সিজেন নিশ্চিত করতে প্রতিটি জেলায় অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের জোগান বাড়বে এবং দেশের মানুষ উপকৃত হবেন’।

দেশজুড়ে প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসার জন্য চাহিদা মতো অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সংকট থেকে রেহাই পেতেই দেশের প্রতি জেলায় অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার কথা ঘোষণা করলেন মোদী। রবিবার তিনি জানান, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকা থেকে জেলায় জেলায় অক্সিজেন কারখানা গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বিভিন্ন জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে হঠাৎ করে যাতে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত না হয় এবং কোভিডে আক্রান্ত ও অন্যান্য রোগীর সহায়তার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটিকে দীর্ঘায়িত করা হবে’।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১, যা এ যাবৎ সর্বাধিক। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ জনের, যা এখনও পর্যম্ত সবচেয়ে বেশি। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১১ জন মারা গিয়েছেন। রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের বহু রাজ্যে বর্তমানে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার।


ইতিমধ্যে দেশের ৫৫১টি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ৭০০-র বেশি অক্সিজেন উৎপাদক সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি সব জেলায় অক্সিজেন তৈরির জন্য দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ওই বিবৃতি বলছে, ‘এর আগে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ২০১.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে দেশ জুড়ে চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যবহৃত ১৬২টি অক্সিজেন উৎপাদক কেন্দ্র গড়ে তুলতে। এ বার প্রতিটি জেলায় অক্সিজেন কারখানা তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.