কোভিড সংক্রমণের প্রথম পর্বে যতটা না হয়েছে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ তার কয়েক গুণ বেশি পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। তার ভগ্নদশা মারাত্মক প্রকট হয়েছে এই দফায়। বিশেষ করে অক্সিজেনের আকালের মাসুল দিতে হচ্ছে রোগীদের। সময়মতো অক্সিজেন পাচ্ছেন না রোগীরা। রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে বিবাদ চলছে, কেন্দ্রের সঙ্গেও সংঘাত হচ্ছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম অবধি গড়িয়েছে বিষয়টি। এই প্রেক্ষাপটেই হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহ চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সারা দেশে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে ৫৫১টি ডেডিকেটেড প্রেসার সুইং অ্যাডসর্পশন মেডিকেল অক্সিজেন জেনারেল প্ল্যান্ট বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও)।
যত দ্রুত সম্ভব কারখানাগুলিকে সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, জেলা স্তরে অক্সিজেন সরবরাহ সুনিশ্চিত করায় এই প্ল্যান্টগুলি বিরাট ভূমিকা পালন করবে।
এক বিবৃতিতে পিএমও বলেছে, জেলা সদরে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন উত্পাদনের প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্তের পিছনে মূল উদ্দেশ্য জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা, নিশ্চিত করা যে, এই হাসপাতালগুলিতে নিজস্ব ক্যাপটিভ অক্সিজেন তৈরির সুবিধা থাকবে। এরকম অভ্যন্তরীণ ক্যাপটিভ অক্সিজেন তৈরির ব্যবস্থা থাকলে হাসপাতালগুলির ও গোটা জেলার দৈনন্দিন মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো যাবে। পাশাপাশি লিক্যুইড মেডিকেল অক্সিজেনও (এলএমও) বাড়তি হিসাবে মিলবে। আচমকা জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি হবে না, এটা সুনিশ্চিত করতে এমন সিস্টেম বড় ভূমিকা নেবে, কোভিড ও অন্য রোগীদের যথেষ্ট পরিমাণ বাধাহীন অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব হবে।
একাধিক রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিহ্নিত সরকারি হাসপাতালে এধরনের প্ল্যান্ট বসবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ হবে।
চলতি বছরে এর আগেই অতিরিক্ত ১৬২টি ডেডিকেটেড মেডিকেল অক্সিজেন উত্পাদন কেন্দ্র তৈরির জন্য পিএম কেয়ার্স ফান্ড ২০১.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে বলেও জানিয়েছে পিএমও।
2021-04-25