হাতে আর দু’দফা ভোট, ‘বঙ্গ বিজয়ে’ কতটা এগিয়ে? পর্যালোচনা বৈঠকে বিজেপি

এখন বড় সভা নেই। কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ ভোট প্রচারের ঝড়কে আটকে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছ’দফার ভোটে কোথায় কী হল, বাকি দুদফায় কী হতে পারে তা নিয়ে শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় পর্যালোচনা বৈঠকে বসল বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব।

বাইপাস সংলগ্ন একটি হোটেলে বৈঠকে বসেছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শুভেন্দু অধিকারী, সব্যসাচী দত্তরা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জেলা ধরে কোন কোন আসন জিততে পারে বিজেপি সে ব্যাপারে পর্যালোচনা চলছে।

আগামী দুদফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, কলকাতা এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভোট রয়েছে। এর মধ্যে কোন জেলায় কত পদ্ম ফুটতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এমনিতে সপ্তম এবং অষ্টম দফায় যেখানে ভোটগ্রহণ হবে সেখানে একুশের ভোটে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পশ্চিম বর্ধমান জেলা এমনিতেই গত কয়েক বছরে বিজেপির দুর্গ হয়ে উঠেছে। একুশের ভোটে বেশ কিছু আসন শিল্পাঞ্চল থেকে নিজেদের ঝুলিতে আসবে বলে আশা করছে গেরুয়া শিবির।

তা ছাড়া মালদহ উত্তর নিয়েও বিজেপি আশাবাদী। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমেও এবার ঘাসফুলের দাপট ভাঙা যাবে বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষরা। তা ছাড়া কলকাতার কয়েকটি আসন একুশের ভোটে তাঁদের জন্য উর্বর বলে মত গেরুয়া নেতাদের। মুর্শিদাবাদের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় ভোট কাটাকাটির অঙ্কে কয়েকটি আসনে নিজেদের সম্ভাবনা দেখছেন বিজেপি নেতারা।

এদিন যাঁরা বৈঠকে বসেছেন তাঁদের বেশিরভাগই প্রার্থী। কারও কারও লড়াই একেবারে চড়া দাগের। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আবার বিধান নগরে সব্যসাচীর লড়াই সুজিত বসুর বিরুদ্ধে। নিজেদের কেন্দ্রে কী হবে তাও হয়তো এদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে। সব মিলিয়ে ভোটের মাঝে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে নিজেদের বোঝাপড়া ঝালিয়ে নিতেই এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.