সংক্রমণের গতি বাড়িয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটছে করোনা৷ বাংলায় প্রতিদিন বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন৷ কত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন৷ এই পরিস্থিতিতে খানিকটা স্বস্তি মিলল৷ সোমবার গো-এয়ারের বিশেষ বিমানে কোভিশিল্ড শহরে আসছে বলে জানা গিয়েছে৷ এর আগে গত পরশু অর্থাৎ শুক্রবার, কোভিশিল্ডের ৫ লক্ষ ডোজ এসেছিল রাজ্যে।
সূত্রের খবর, দমদম বিমানবন্দর থেকে ওই টিকা নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজার সেন্ট্রাল ড্রাগ স্টোরে। তার পর সেখান থেকেই বিভিন্ন টিকাকরণ কেন্দ্রে তা পাঠানো হবে। চাহিদার নিরিখে রাজ্য যে পরিমাণ টিকা চেয়েছিল, তার তুলনায় অনেক কম টিকাই এসেছে বলে খবর। তবে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে আরও কিছু টিকা আসতে পারে রাজ্যে।
রাজ্যজুড়ে রোজই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। তার মধ্যেই রাজ্যে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দিয়েছে।ভ্যাকসিন সংকটের জন্য অবশ্য রাজ্যের অনেক জায়গাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিনেশন। এই অবস্থায় রাজ্যের তরফে দ্রুত ভ্যাকসিন চেয়ে পাঠানো হয়। গত ২১ এপ্রিল মালদহে একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত টিকার ৯৩ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও ১ কোটি টিকা চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের মধ্যে শনিবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষকর্তা। বৈঠকে অক্সিজেনের জোগানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসে, রাজ্যে আপাতত দৈনিক ২২৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। সেখানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে রোজ প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। ফলে রাজ্যে আপাতত অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। তারইমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে শুধু চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখালে অক্সিজেন মিলবে না। করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট থাকলে তবেই অক্সিজেন দেওয়া হবে।