আমাদের আশেপাশে এমন কিছু লোক আছেন যাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কয়েক মাস আগে ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তাঁরা বলতেন
1) এটা লোক দেখানো ভ্যাকসিন। শরীরে সের্ফ জল ঢুকিয়ে দেবে।
2) কোন রকম ট্রায়াল না করে ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিন নিলে লাভ কিছুই হবে না। উল্টে শরীরের ক্ষতি হবে। বিশ্বের অন্য দেশগুলির কাছে বাহাবা পাওয়ার লোভে দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হল।
3) ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। জোর করে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করা চলবে না।
4) মিডিয়া প্রচার করছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার 24 ঘন্টা পরেই একজন মারা গেলেন। ভ্যাকসিন মোটেই নিরাপদ নয়। এটা নিলে জীবনহানির পর্যন্ত আশঙ্কা আছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কানাঘুষোতে এমন প্রচার পর্যন্ত শুনেছি যে মোদী সরকার বুড়ো লোকগুলোকে ভ্যাকসিন দিয়ে মেরে ফেলতে চাইছে যাতে পেনশন খাতে খরচ কম হয়।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় খবর নিয়ে দেখেছি যাঁরা এই রকম প্রচার খুব বেশী করে জনগণকে ভয় দেখাতেন তাঁরা নিজেরা সবার আগে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন খুব গোপনে। এদিকে ওনাদের মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে বোকা সরল জনগণের অনেকে ভয়ে ভ্যাকসিন নেন নি। আজ তাঁরা পস্তাচ্ছেন আর হাত কামড়াচ্ছেন। এদিকে যাঁরা লোককে বিভ্রান্ত করেছিলেন, অহেতুক ভয় দেখিয়েছিলেন, তাঁরা আজ বুক ফুলিয়ে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সঠিক সময়ে ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়েছিলেন বলে। অখিলেশ যাদব আর ওয়াইসি ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রচুর অপপ্রচার করেছিলেন। এদিকে নিজেরা কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছিলেন। এনাদের নিন্দা করার ভাষা নেই।