পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) দুজন জুনিয়ার চিকিৎসকদের উপর উগ্রপন্থীদের দ্বারা হওয়া হিংস্র হামলার পর শুরু হওয়া আন্দোলনের প্রভাব বেড়েই যাচ্ছে। দিল্লী মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (ডিএমএ) এর অধ্যক্ষ ডাক্তার গিরিশ ত্যাগী ডাক্তারের উপর হওয়া হামলার ব্যাপারে কড়া শব্দে নিন্দা জানায় এবং যারা আন্দোলন করছে তাদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করে। ডিএমএ, ডাক্তারদের প্রতি হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন তৈরি দাবী করা হয়েছে। একই সাথে অরগানাইজেশন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এর কথা বলেছেন। সেখানে ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল এসোসিয়েশনো স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গৃহীত করেছে ও এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে মজবুত আইন আনার আগ্রহ করেছে।
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলার সময় অফিসাররা এই বিষয় বলেন যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে এক বিশেষ ধরণের আইন আসা উচিত, যারমধ্যে দোষী মোটামুটি ৭ বছরের সাজা পাবে। উনি বললেন যে দোষীর বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করা, তাকে দোষী মানা ও তারপর তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য অনিবার্য বিধান থাকা উচিত, যেরকম POCSO এক্টে করা হয়। হাসপাতালকে স্পেশাল জোন ঘোষিত করা উচিত এবং উপযুক্ত সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হওয়া উচিত।
খবর অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকার ডাক্তারের সুরক্ষা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। ডাক্তারদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার একটি বড় আইন আনতে পারে বলে খবর আসছে। এই আইনের অন্তর্গত ডাক্তারদের সাথে মারপিট বা ওনাদের উপর হামলা করার ঘটনাকে বড় অপরাধের শ্রেণীতে ফেলানো হতে পারে এবং এই অপরাধের জন্য দোষীদের মোটামুটি ১২ বছরের সাজা পেতে পারে। এরসাথেই এই ব্যাপারেও বিচার করা হচ্ছে যে এই আইনকে অজামিনযোগ্য করা হোক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সব রাজ্যে সরকারকে এই ব্যাপারে বিচার করতে বলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী খুব তাড়াতাড়ি সব রাজ্য মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করবে এবং খবর পাওয়া গেছে যে এই বৈঠকে ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্য কঠোর আইন ছাড়াও ক্লিনিক্যাল এস্টেবলিশমেন্ট এক্টেও বদল করা হতে পারে। সব রাজ্যের সাথে বিবেচনা করে ও তাদের প্রস্তাব আসার পর এই বিষয় অন্তিম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।