বেলাগাম সংক্রমণ। দিশেহারা মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। সংক্রমণ মোকাবিলা কার্যত অসাধ্য হয়ে পড়েছে। গোটা রাজ্যে হ হু করে ছড়াচ্ছে করোনা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার সর্বত্র। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে ফের রাজ্যে ৬৭ হাজার ১৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি আরও ৬৭৬ জন। রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে বর্তমানে ৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৮০।
দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। দেশের মধ্যে একমাত্র মহারাষ্ট্রেই করোনার প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। এবার সেকেন্ড ওয়েভেও করোনায় বিদ্ধ মারাঠাভূম। মাত্রাছাড়া সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে। জেলায়-জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের ভিড়। হাসপাতালগুলিতে বেডের আকাল। অক্সিজেনের ভান্ডার নিঃশেষের পথে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে সংক্রমণ বেড়ে চলার যা গতি তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শুধু বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়েই শনিবার নতুন করে ৫ হাজার ৮৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। বাণিজ্যনগরীতে এই মুহূর্তে ৭৮ হাজার ৭৭৫ জন করোনা অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে (home quarantine) রয়েছেন ৪১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৭৫ জন। এরই পাশাপাশি ইন্সটিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে (institutional quarantine) রয়েছেন ২৯ হাজার ২৪৬ জন।
সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি পুণেতেও। শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, পুণেতে একদিনে নতুন করে প্রায় ৪ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। বর্তমানে পুণেতেই ১ লক্ষ ৮ হাজার সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, থানেতে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৮০ হাজারের বেশি। নাগপুরেও ৮০ হাজার ৮৭টি করোনা অ্যাক্টিভ কেস। একইভাবে নাসিকে ৪২ হাজার, আহমেদনগরে ২৪ হাজারের বেশি করোনা অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন।