Indifferent, insesitive callous হিন্দুরাই দিব্বি কিনে পরছে ! আজ পর্যন্ত একটি শাড়ী ,বা অন্য পোশাকেও কিন্তু চাঁদ তারা বা ক্রস শোভিত দেখিনি

গতকাল দোকানে দেখি একজন শিক্ষিতা ভদ্রমহিলা, হাতে লোহা, পলা পরা , পরণের শাড়িটি স্বস্তিকা ময় ! পায়ের কাছের পাড়ের স্বস্তিকাগুলি বড় বড়, এবং তাঁর প্রতি পদক্ষেপের সঙ্গে চটির নীচে মাড়িয়ে চলেছেন ! আমি স্বস্তিকা চিহ্ন হিন্দুদের অন্যতম পবিত্রতম চিহ্ন, তাই তাঁকে ওই শাড়িটি আর পরতে বারণ করায় তিনি অবাক হবার ভান করে বললেন “এটা কি ?” ” কেন, পায়ে লাগলে কী হয়েছে ?” ,” বেশ করেছি পরেছি । আমি এখানকার hs স্কুলের শিক্ষিকা , সবাই আমাকে চেনে । আমি ওসব হিন্দু মুসলিম মানি না । আমরা সকলেই মানুষ । আমায় জ্ঞান দিতে আসবেন না ।” –ইত্যাদি ! .
আমি বললাম আপনি শিক্ষিকা হয়ে, আর ভারতে বসবাস করেও স্বস্তিকা চেনেন না ,এতে আপনার লজ্জাই বাড়ল । যদি সকলকেই মানুষ বলে সম্মান করেন, তাহলে কোটি কোটি হিন্দুর শ্রদ্ধার কেন্দ্র স্বস্তিকাকে পায়ে দলতেন না ,কারণ এই কোটি কোটি হিন্দুরাও মানুষ । আর সত্যিই যদি হিন্দু মুসলিম না মানেন, তবে পায়ের দিকের পাড়ে চাঁদ তারা আঁকা শাড়ি পরে একটু কাছের মসজিদটার সামনে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে দেখান ! এতে উনি “আমি আপনার কোনো কথার শুনবো না “, বলতে বলতে দোকান থেকে বেরিয়ে রওয়ানা দিলেন !😊😊
আমি দোকানদার ও উপস্থিত অন্যদেরকেও অনুরোধ করলাম ,দয়া করে স্বস্তিকা, মঙ্গলঘট, লক্ষ্মীর পা, ওমকার ইত্যাদি আঁকা শাড়ী কাপড় নিজেরাও কিনবেন না ,আর কেউ পরেছে দেখলে তৎক্ষণাৎ আপত্তি করুন । নিজের মান নিজের কাছে।

হটাৎ করেই দেখছি গত দু তিন বছর ধরে , শাড়ি, কুর্তা এসবের যত্রতত্র হিন্দুদের পবিত্র চিহ্নগুলি ছাপা হচ্ছে ! জামার বা blouse এর পিঠে দেবদেবীর ছবি আঁকা হচ্ছে , যেগুলো গায়ের ঘামে ভিজছে ,আর কোনো কেদারায় বসলে দেবদেবীর মুখটা ঘষা খাচ্ছে ! বিছানায় শুলে পিঠের নীচে চেপে যাচ্ছে !! Indifferent, insesitive callous হিন্দুরাই দিব্বি কিনে পরছে ! আজ পর্যন্ত একটি শাড়ী ,বা অন্য পোশাকেও কিন্তু চাঁদ তারা বা ক্রস শোভিত দেখিনি !

Paramita Bhattacharya লিখলেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.