জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে যখন গোটা বাংলা সরগরম, তখনই এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকদের আন্দোলনে তুলকালাম বিকাশ ভবন চত্বর।
গত ছ’দিন ধরে বিকাশভবনের অদূরেই অবস্থান করছিলেন এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা। এ দিন তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। শিক্ষক সংগঠনের দাবি, ভোটের আগে কথা দেওয়া হলেও শিক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ দিন কোনও সাড় দেওয়া হয়নি। বিপুল জমায়েত নিয়ে মিছিল করে বিকাশ ভবনের দিকে এগোতে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ত্রিস্তররীয় ব্যারিকেড দিয়ে ওই মিছিল আটকায় পুলিশ। ধুন্ধুমার বেঁধে যায় সল্টলেকে।
বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে নির্বাচনের আগেই বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা। সেই সময়ে তাঁদের বলা হয়, ভোটের পরে সব শুনবে সরকার। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পরও সরকার কোনও গা না করায় ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা।
গত সপ্তাহেই অস্থায়ী কম্পিউটার শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন। ভোটের আগে তাঁদের আন্দোলনেই উত্তপ্ত হয়েছিল মিন্টোপার্ক। তাঁদের অভিযোগ, যে সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকার চুক্তি করেছে, তাঁরা টাকা লুঠ করছে। শিক্ষকদের যা বেতন পাওয়ার কথা, তার থেকে অনেক কম বেতন পাচ্ছেন তাঁরা।
এর মধ্যেই আবার শুরু হয়ে গেল শিক্ষকদের আন্দোলন। ভোটের আগে আগেই এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীদের অনশন নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুটতে হয়েছিল মেয়ো রোডে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনের অনশন মঞ্চে। তারপর আশ্বাস পেয়ে ওঠে অনশন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের পর থেকে আরও চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আন্ডলনের পর আন্দোলন হয়েই চলেছে।