রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো এবার পরিবর্তন ও হিন্দু অষ্মিতার হাওয়া লেগেছে কলকাতাবন্দরে।
কলকাতার দক্ষিন লোকসভা কেন্দ্রের এই আসনটি খুব বেশিদিনের পুরনো না। ২০০২ সালে গঠিত সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলকাতা পৌরসংস্থার ৭৫, ৭৬, ৭৮, ৭৯, ৮০, ১৩৩, ১৩৪ ও ১৩৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে ১৫৮ নং কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়।
২০১১ থেকেই এই অঞ্চল শাসিত হয়ে আসছে ফিরহাদ হাকিমের দ্বারা। হ্যাঁ সেই ফিরহাদ হাকিম‚ যে কিনা সদ্য ধরা পড়েছে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাধারণ মানুষের সামনে গালাগালি দেওয়ার সময়। যে মেয়র পদে একদিন সুভাষচন্দ্র‚ চিত্তরঞ্জনরা বসত‚ বর্তমানের সেই চেয়ারের অধিকারী খোলা রাস্তায় যাচ্ছেন খিস্তি দিতে দিতে।
বাংলার রাজনীতির কি নিদারুন লজ্জা।
দীর্ঘ সময় ধরে ফিরহাদের একছত্র আধিপত্যে বর্তমানে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মানুষ। সিন্ডিকেট – কাটমানি – গুন্ডারাজের দাপটে বন্দর চত্ত্বরের মানুষ এখন অস্থির। সমস্যা আছে নিকাশী ব্যবস্থাতেও। মানুষ খুনের নন জল – বিদ্যুৎ এর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েও। চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে আইন শৃঙ্খলারও। এছাড়াও সাঙ্ঘাতিক পরিমানে বেড়েছে জেহাদী শক্তির রমরমা। তারউপর আবার ফিরহাদ হাকিম বংশগতভাবে বিহারী হওয়ায় সেটাও ভালো চোখে দেখছে না স্থানীয় বাঙ্গালী অষ্মিতার ভোটাররা। এছাড়াও এর আগে একবার খোদ পাকিস্তানে গিয়ে কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলে আসায় দেশপ্রেমিকদের দুচোখের বিষ হয়ে গিয়েছেন ফিরহাদ।
ফলে হাওয়া অনেকটাই বইছে বিজেপি প্রার্থী কিশোর গুপ্তার দিকেই। প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট এবং জাতীয়তাবাদী ভোট – উভয়কেই ঝুলিতে ভরে তিনিই হতে চলেছেন বন্দর বিধানসভার সিকন্দর।
মোটের উপর দাঁড়িয়ে বন্দরে তৃণমূল তথা ফিরহাদ হাকিমের রাজত্বের এবার অবসান ঘটছে বলেই অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। সম্ভবত এবারই কলকাতা বন্দর থেকে মুছে যাবে কাটমানি আর সিন্ডিকেট শব্দটা। তবে শেষ হাসি হাসবে কে তা ঠিক করে দেবে জনগনই। আপাতত তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির।