উত্তরপ্রদেশের তুলনায় বামপন্থীদের স্বর্গরাজ্য কেরলে মৃত্যুর হার সাড়ে তিন গুণ বেশি, আক্রান্তের হার বেশি সাড়ে আট গুণ। মনে রাখবেন, কমি শাসিত কেরলে কিন্তু কুম্ভ নেই, রামমন্দির নেই, জাতীয়তাবাদী সরকার নেই

শেখের কুকুর কমিউনিস্টরা বলছেন, উত্তরপ্রদেশে হাজার হাজার চিতা জ্বলছে। হ্যাঁ, কোভিডে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন সমস্ত দেশেই, সেটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তার দায়িত্ব নিতে হবে, খুব সত্যি কথা। কিন্তু কমিউনিস্টদের কনসার্ন তো সেটা নয়, কারণ তাঁরা এক লাইন কোভিড নিয়ে বলেই পরের লাইনেই চলে যাচ্ছেন দেড় বছর আগের রামমন্দিরে, চার বছর আগের স্ট্যাচুতে তার পরের বাক্যেই বলছেন, নো ভোট টু বিজেপি। তারপর বলছেন, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য (পীরের কুকুর) কমিউনিস্টদের ভোট দিন।
অর্থাৎ, মূল উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গে ইমামভাতার সরকারকে টিঁকিয়ে রাখা অথবা পীরজাদার জোটকে ক্ষমতাশালী করা। কোভিডে মানুষ মরছে, সেসব গৌণ, বরং আরও কিছু মরলে কমিউনিস্টদের ভালোই হয়, প্যানিক ও হি ন্দুফোবিয়া ছড়াতে সুবিধে হয়।

তথ্য কী বলছে? আজকের দিন পর্যন্ত ‘হিন্দুত্ববাদী’ উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ১০৭৩৭। মোট আক্রান্ত দশ লক্ষ তেরো হাজার। উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা সাড়ে বাইশ কোটি। অর্থাৎ প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা ০.০৪, আক্রান্তের সংখ্যা ৪.৫।
আর ভারতবর্ষে বামপন্থীদের শেষ স্বর্গ কেরলে, যারা নাকি কেরল-মডেলে গত বছরেই করোনা সারিয়ে ফেলেছিল? মৃত পাঁচ হাজার, আক্রান্ত সাড়ে তেরো লক্ষ। কেরলের জনসংখ্যা সাড়ে তিন কোটি। অর্থাৎ প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা ০.১৪, আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮.৫।

সুতরাং, অঙ্কের হিসেবেই ফুটপাথে হাজার হাজার চিতা জ্বলা উত্তরপ্রদেশের তুলনায় বামপন্থীদের স্বর্গরাজ্য কেরলে মৃত্যুর হার সাড়ে তিন গুণ বেশি, আক্রান্তের হার বেশি সাড়ে আট গুণ। মনে রাখবেন, কমিকুত্তা শাসিত কেরলে কিন্তু কুম্ভ নেই, রামমন্দির নেই, জাতীয়তাবাদী সরকার নেই। মনে রাখবেন, কমিকুত্তারা মে মাসে বলেছিল কিউবা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করে ফেলেছে, অগস্ট মাসে বলেছিল কেরল সব করোনা সারিয়ে ফেলেছে। মনে রাখবেন, ভ্যাক্সিনেশন যখন শুরু হল এই কলকাতার কমিকুত্তারাই বলেছিল ভারতের ভ্যাক্সিনে কাজ হচ্ছে না, ভ্যাক্সিন কার্যকরী নয়। আজ এরাই বলছে, ভ্যাক্সিন কেন দেওয়া হচ্ছে না!

আমরা উত্তরপ্রদেশের সমস্ত আক্রান্ত মানুষের আরোগ্য কামনা করছি। আমরা কেরলের সমস্ত আক্রান্ত মানুষেরও আরোগ্য কামনা করছি। তাঁরা সকলেই ভারতের মানুষ। কিন্তু এই আপৎকালীন সময়ে দিল্লি আর কলকাতায় এসি ফ্ল্যাটে বসে কোভিড সচেতনতার নামে প্যানিক আর হি ন্দু বিদ্বেষ ছড়ানো বড়লোকের বাচ্চা কমিকুত্তারা ভারতেরও নয়, মানুষও নয়। এই জানোয়ারদের চক্রান্তটাকে চিনে নেওয়া জরুরি।

কোভিড সতর্কতার নিয়ম মেনে চলুন, মাস্ক পরুন। সাবধানে থাকুন, ভালো থাকুন সবাই।

©️বাম পতনের শব্দ হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.