আন্দোলনের একেবারে গোড়ার দিক থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল হামলাকারীদের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। সোমবার নবান্নে নিষ্পত্তি বৈঠকে সেই দাবিই যেন কিছুটা প্রাসঙ্গিকতা হারালো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে এক হবু চিকিৎসক তো অভিযোগই করলেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার। যা হজম করতে হল মেজাজি মুখ্যমন্ত্রীকেও। গত সোমবার ঘটনার দিন ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।
কিন্তু এনআরএসের জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল প্রায় ২০০ জন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের ওপর। তাই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রত্যেক হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। দিতে হবে কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা। এদিনের বৈঠকের পরিবহর নাম ঘুরে ফিরে একাধিকবার আলোচনায় এলেও, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি যেন উহ্যই থেকে গিয়েছে। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সবরকম আশ্বাস দিয়েছেন। যা তিনি সবসময়ই দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একেবারে গোড়ার দিকে ওঠার দাবি কিভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সামনে হারিয়ে ফেললেন ৩১ জন আন্দোলনরত ভাবি চিকিৎসকরা?