আজ ২১শে এপ্রিল, বুধবার। সমগ্ৰ ভারতের প্রাণ পুরুষ মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্রের শুভ আবির্ভাব দিবস ও রাজ্য ভিষেক তিথি অর্থাৎ শ্রীরাম নবমী উৎসব।
চৈত্র মাসের নবমীর পুণ্য তিথির প্রবিত্র দিনে ভগবান রামচন্দ্র স্ত্রী সীতা মা, ও ভ্রাতা লক্ষ্মণ সহিত চৌদ্দ বছর বনবাস কাটিয়ে পিতৃ আজ্ঞা পালন করে নিজের মাতৃভূমি,মোক্ষভূমি, পুণ্যভূমি,ও কর্মভূমি অযোধ্যা নগরীতে ফিরে এসেছিলেন।
তিনি চাইলে থেকে যেতে পারতেন রাক্ষসরাজ রাবণের লঙ্কাপুরিতে। রাবণের লঙ্কাপুরি ছিল প্রচুর ধন সম্পদে সমৃদ্ধ। তিনি লক্ষ্মণ,মা সীতা ,বিভীষণ,ও হনুমানের বানর সেনাকে সাথে নিয়ে লঙ্কার রাজ সিংহাসনে রাজারুপে অধিষ্ঠিত হয়েও রাজত্ব করতে পারতেন লঙ্কায়। কিন্তু তিনি তা করেন নি। বানর সেনা নিয়ে সীতা মা’কে উদ্ধার করে লঙ্কার রাজা রাবণ কে শাপ মোচন থেকে মুক্ত করেছিলেন। এবং আসুরিক শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয় শঙ্খ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।সীতা মা’কে রাবনের হাত থেকে উদ্ধার করা তো ছিল ভগবানের একটা লীলার অংশ রুপ।তাই আমার একটি কবিতা “সীতা হরণের” এক টুকরো খন্ড তুলে ধরলাম এই প্রেক্ষাপটে।
দাণব দেবতা পারিবে না কেউ,
রাক্ষস রাজা রাবণ বধিতে।
মানব ধর্ম নিলো তাই,
নারায়ণ ধর্ম চেতনা জাগাতে।
রামের হাতে মুক্তি তার,
নিছক ছলনা সীতা হরণ।
লক্ষণ গন্ডি পেরিয়ে এসে,
সীতা দিলো রাবণকে দর্শন।
লঙ্কা কান্ড না করিলে,
হতো'না ধর্ম চেতনার জয়।
অধর্মকে বিনাশ করিতে,
ভাগবানকে যুগে-যুগে আসতে হয়।
সীতা হরণে মুক্তি আছে,
রাবণ জানিত সে কথা।
দশাননের পাপ মুক্ত করিতে,
রামকে যেতে হয়েছিল লঙ্কা।
লঙ্কা জয়ের পর লঙ্কার রাজসিংহাসন যখন শ্রীরামচন্দ্রের অধিনে। তখন শ্রীরামচন্দ্র কে ভ্রাতা লক্ষ্মণ বলেছিলেন, অযোধ্যায় ফিরে না গিয়ে লঙ্কাপুরিতে থেকে লঙ্কায় রাজত্ব করার জন্য। তখন শ্রীরামচন্দ্র ভ্রাতা লক্ষ্মণ কে বলেছিলেন,
“অপি স্বর্ণময়ী লঙ্কা ন মে লক্ষ্মণ রচোতে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী।”
অর্থাৎ, হে ভ্রাতা লক্ষ্মণ, লঙ্কা যতই ধন সম্পদে পরিপূর্ণ হোক না কেন।তবুও আমার কাছে আমার দেশ আমার মাতৃভূমি, কর্মভূমি,জন্মভূমি অযোধ্যা নগরী আমার কাছে স্বর্গের থেকেও অধিক প্রিয়।
তাই তিনি ফিরে এসেছিলেন প্রজাদের সুখে নিজের জন্মভূমি অযোধ্যাতে। তিনি ছিলেন এতটাই প্রজাবৎসল যে, প্রজাদের দুঃখে নিজের হৃদয় কাঁদিলে প্রাণ দিতেও পিছপা হতেন না। আমরা রামায়নে পড়েছি কিভাবে প্রজাদের সুখের জন্য নিজের অর্ধাঙ্গিনীর প্রতি অগাধ প্রেম, বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও মা সীতাকে দিতে হয়েছিল অগ্নি পরীক্ষা। তাই প্রজাদের প্রাণের রাজাধীরাজ শ্রীরামচন্দ্র যখন চৌদ্দ বছর বনবাস কাটিয়ে পঞ্চবটি কুটির থেকে অযোধ্যাতে ফিরে এসেছিলেন তখন প্রজারা তাঁকে শঙ্খ ধ্বনী,উলু ধ্বনী,ও পুষ্প বর্ষণ করে স্বাগত জানিয়ে ছিলেন নিজের রাজ্যে।অযোধ্যা নগরীর সকল মানুষের চোখে মুখে খুশির ঈষৎ শুভ্র আভা ছড়িয়ে পড়েছিল।
তাই শ্রীরামচন্দ্রের অযোধ্যা নগরীতে ফিরে আসার এই প্রবিত্র দিনটিকে স্মরণ করে সমগ্ৰ ভারতবাসী তথা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ বিজয়ের প্রতীক “শস্ত্র পূজন” করে শোভাযাত্রার মাধ্যেমে শ্রীরাম নবমী উৎসব পালন করে আসছে বহুযুগ ধরে পরম্পরা অনুযায়ী।
আজ আমরা যদি বর্তমান ভারতবর্ষের চিত্র দেখি তাহলে দেখতে পাবো, কিভাবে একজন শাসক দল বঙ্গদেশের রাজ সিংহাসন আরোহণ করে সেই বঙ্গবাসী প্রজাদের কন্ঠে তাঁদের আরাধ্য দেবতা শ্রীরামের নাম শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে মেজাজ হারিয়ে রামচন্দ্র কে বলছেন বহিরাগত। “রাম নাম”আজ শাসক দলের কাছে সাম্প্রদায়িক।
আমরা যদি লক্ষ্য করি বাঙালীর জীবনে রাম নামের প্রভাব ভীষণ ভাবে জড়িয়ে আছে। তাহলে দেখতে পাবো, প্রত্যেক বাঙালী বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানের নাম রেখেছেন রামের নাম অনুকরণ করে। যেমন,রামকৃষ্ণ,বলরাম,জয়রাম,ও রামানুজ ইত্যাদি। শুধু ব্যক্তি নাম নয়,এলাকার নামও রাখা হয়েছে রামচন্দ্রকে ঘিরে যেমন, শ্রীরামপুর,রামপুরহাট,রামরাজাতলা,ও রামনগর ইত্যাদি।
‘এক’ বোঝাতে রাম শব্দটি আমরা ব্যবহার করেছি। যেমন,রাম এক, শ্যাম দুই, যদু তিন, মধু চার ইত্যাদি ইত্যাদি।
আজও প্রত্যন্ত গ্ৰামে ও শহরাঞ্চলের মানুষের মুখে ভূত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মন্ত্র হিসেবে শোনা যায়,
“ভূত আমার পূত,পেত্নী আমার ঝি।
রাম-লক্ষ্মণ সাথে আছে করবে আমার কি।”
আজ থেকে ৫০০বছর আগে চৈতন্য মহাপ্রভু তৎকালীন ইসলামিক শাসনের বিরুদ্ধে যে সামাজিক জাগরণ সংগঠিত করেছিলেন,যার মধ্যে জাতপাতের কোন রেশ ছিল না।সেখানেও আমরা দেখেছি ভগবান রামের নাম। আজও সারা বাংলা জুড়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাম ভক্তি সাধনায় সেই মহামন্ত্র নাম সকলের কন্ঠে গুঞ্জিত হয়ে চলেছে,
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।”
এছাড়াও ছোটো বেলায় ঘুম পাড়ানোর সময়ও দাদু-দিদিমারা গানের মাধ্যেমে আমাদের শুনাতেন,
“এক দেশে এক রাজা ছিল,দশরথ তার নাম
তিনটি রানী,চারটি ছেলে,বড়টির নাম রাম।”
যে রামচন্দ্র ভারতীয় আধ্যত্মিকতার প্রতীক।যে রাম নাম ভারতীয় জীবনে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। তাই তো ভারতের বিভিন্ন মনীষী ও কবিগন রামচন্দ্রের আদর্শকে অনুসরণ করে তাঁদের বিভিন্ন পুস্তক ও পত্রিকায় শ্রীরামচন্দ্র কে নিয়ে মতপ্রকাশ করেছেন।
গান্ধীজী তাঁর হরিজন পত্রিকায় শ্রীরামচন্দ্রের রাজত্বকাল সম্পর্কে বলেছিলেন, “আমাদের দেশে গণতন্ত্রের শেষ সীমা হল রামরাজ্য স্থাপন করা।”
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীরামের বর্ণনা করেছেন, "কে লয়েছে নিজ শিরে রাজভালে মুকুটের সম/সবিনয়ে সগৌরবে ধরাধামে দুঃখ মহত্তম/ কহ মোরে সর্বদর্শী।হে দেবর্ষী,তাঁর পুণ্য নাম / নারদ কহিলা ধীরে অযোধ্যার রঘুপতি শ্রীরাম।"
স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামচন্দ্র সম্পর্কে বলেছেন, “প্রাচীন বীর যুগের আদর্শ,সত্যপরায়ণতা,ও নীতির সাকার মূর্তি, আদর্শ তনয়, আদর্শ পতি, আদর্শ পিতা, সর্বোপরি আদর্শ এক রাজা।”
আমরা দেখেছি, রাম মন্দির নির্মাণ কল্পে অন্ন ত্যাগ করে দীর্ঘ সাতাশ বছর ধরে রাম উপবাস করে জব্বলপুরের উর্মিলা চতুর্বেদী বুঝিয়ে দিয়েছেন রাম ভারতীয় মানুষের মননে ও চিন্তনে কতটা বিরাজমান। ১৯৯২সালে যখন বিতর্কিত কাঠামো অযোধ্যা ধ্বংস হয়েছিল,তখন দেশজুড়ে হানাহানি ও মারামারি শুরু হয়েছিল।প্রভু রামের স্থান নিয়ে এত গোলমাল সহ্য করতে না পেরে তিনি রাম মন্দির নির্মাণের প্রার্থনায় উপবাস করার সংকল্প নেন।সেই সংকল্প অনুসারে অন্ন গ্ৰহণ বন্ধ করেন তিনি। শুধুমাত্র চা ও কলা খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আশায় বুক বেঁধেছেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা চতুর্বেদী।তাঁর মতে, প্রভু রামের ইচ্ছাতেই আজ অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে।
সেই অতি উত্তম নাম, আদর্শ রাজা আজ বঙ্গদেশের বর্তমান শাসক দলের কাছে বঙ্গ সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। সত্যিই ভাববার বিষয়।ভগবান শ্রীরামের জীবনচরিত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, গাহস্থ্য নীতি, সমাজ নীতি, রাজনীতি, ও ব্যবহারিক নীতির ক্ষেত্রে তিনি যে অসীম মর্যাদার দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা আজও বিশ্ব সংসারে বিরল। তাঁরই জন্মস্থান অযোধ্যা যা ১৫২৬ সালে মোগল সম্রাট বাবরের নির্দেশে সেনাপতি মীর বাকী রামমন্দির আক্রমন করেন। এবং ১৫২৮ খিষ্ট্রাব্দে রাম মন্দিরকে পুনঃনির্মাণ করে সেখানে বাবরের নামাঙ্কিত মসজিদে রুপান্তরিত করেন।
ভারতবর্ষে ইসলামের প্রবেশ ছিল মানব জাতির ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায়। মোগলরা এদেশে শুধু মোগল সাম্রাজ্যে কায়েম করতে চেয়েছিলেন তা নয়, এখানকার শ্রদ্ধার কেন্দ্র তথা ধর্ম সংস্কৃতির মূলে আঘাত করে হিন্দু জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য। তাঁরই ফলশ্রুতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরসহ, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, মথুরার কৃষ্ণ মন্দির, পান্ডুয়ার আদিনাথ মন্দির সহ বিভিন্ন ছোটো বড়ো হিন্দু মন্দির ধ্বংস ও আক্রান্ত হয়েছে মোগলদের দ্বারা।
অযোধ্যার বিতর্কিত রাম জন্মভূমির উল্লেখ পাওয়া যায় মুসলিম লেখক আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরী থেকে। অযোধ্যা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো অজেয়। অর্থব বেদে এই স্থানটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি হলো ভগবানের সেই বাসভূমি যা কোন প্রকার শক্রু দ্বারা জয় করা সম্ভব নয়। তা আজ আক্ষরিক অর্থে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। পাঁচ শতাব্দীর সংঘর্ষ-হানাহানি তথা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু রামমন্দির নির্মাণের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ৯ই নভেম্বর ২০১৯ ভারতীয় সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে ও সবপক্ষের মতামত শুনে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। প্রভু শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যাতেই রামলালার বিগ্ৰহসহ নির্মাণ হবে ভব্য শ্রীরাম মন্দির।
এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের মণিকোঠায় শ্রীরাম ও তাঁর রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তবেই ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে। স্বাধীনতার আগে ও পরে একাধিক বামপন্থী ও কংগ্রেস বুদ্ধিজীবীরা শ্রীরামচন্দ্র কে কাল্পনিক প্রণাম করার আঁত ঘাঁত চেষ্টা করেছেন আর এখনও করে আসছেন। ইসলাম শাসক ও ব্রিটিশরা খুব ভালো ভাবে এটা উপলব্ধি করেছিলেন যে, এই বিশাল ভূখণ্ডে শাসন কায়েম করতে হলে প্রতিটা ভারতীয়র অন্তরাত্মা থেকে রাষ্ট্রীয় চেতনার আধার শ্রীরামচন্দ্রের প্রভাবকে জনমানসে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করে দিতে হবে।যা বর্তমান রাজ্যের শাসক দল সেই চেষ্টায় করে যাচ্ছেন অবিরত।
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥
অর্থাৎ : হে অর্জুন,জগতে যখন ধর্মের গ্লানি দেখা দেয় এবং অধর্মের উত্থান ঘটে, তখনই আমি নিজেকে সৃজন করি।সজ্জনদের রক্ষা,ও দুর্জনদের বিনাশের জন্য এবং ধর্মকে সংস্থাপনের জন্য যুগে যুগে আমি আবির্ভূত হই। তাই অধর্মকে বিনাশ করে ধর্ম পুনঃসংস্থাপনের জন্য আবির্ভূত হয়েছেন আদর্শ নেতা রুপে আখ্যায়িত ভারতের প্রধানমন্ত্রী যষশ্রী নরেন্দ্রনাথ দামোদর দাস মোদী। যার নামের সাথে জুড়ে আছে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ, ত্যাগ,ও রাষ্ট্রভক্তি। যে স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মসংস্থাপনার জন্য ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ১১সেপ্টেম্বর আমেরিকা শহরের শিকাগোর মাটিতে হিন্দু ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। সেই স্বামীজীর আদর্শকে পাথেয় করে সর্বকালের সেরা নেতৃত্ব,শ্রীরামের দূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর হাতে ৫ই আগস্ট ২০২০ দুপুর বেলা ১২টায় শুভারম্ভ হলো অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপূজন। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীজী , দেড়শো থেকে দু-শো অতিথি বৃন্দ,সাধুসন্তজন, ও সজ্জন ব্যক্তিবর্গ। বেলা ১২.১৫ মিনিটে শঙ্খ ধ্বনীতে শুধু অযোধ্যা নয় সারা ভারতবর্ষে ভূমি পূজনের মাধ্যেমে রামরাজ্যের স্থাপনা শুরু হয়। সমস্ত বাধা-বিপত্তি, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সেদিন স্বয়ং রামলালা অযোধ্যার নিজ রাজদরবারে প্রবেশ করেছিলেন।সমগ্ৰ আকাশ বাতাসে গুঞ্জে ছিল সেদিন শ্রীরামের জয় ধ্বনী।শ্রীরামচন্দ্রের অযোধ্যা ও তাঁর রামরাজ্যের গুরুত্ব ঠিক কতটা হওয়া উচিত হিন্দু সনাতন ধর্মে তা আজ আমাদের সকলের বোঝা খুব দরকার।দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোটি কোটি ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় শ্রীরামচন্দ্র তথা ভারতীয় ধর্ম ও রামমন্দির পুনঃ স্থাপনের যে পথ প্রশস্ত করে দিলেন তার যথাযোগ্য পালন করা প্রতিটি ভারতবাসীর আবশ্যিক কর্তব্য।
কৌশিক দাস ( ঝাড়গ্ৰাম )