রামনবমীর দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হল পাঞ্জাবের তিন বড় শহরে। লকডাউন করা হয়েছে মোহালি, চন্ডীগড় ও হরিয়ানার পঞ্চকুলায়। রামনবমীর দিন এই শহরগুলিতে মহাধুমধামে পালিত হয় রামনবমী। ব্যাপক জমায়েত হয়। পাঞ্জাবে যেহেতু করোনা ইতিমধ্যেই বড় আকার ধারণ করেছে তাই সেই সমস্যা যাতে আরও বড় না হয় তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার।
সোমবার করোনা নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং হয়। সেখানে চণ্ডীগড়ের এডভাইজারের পক্ষ থেকে লকডাউনের প্রস্তাব আসে। পরিস্থিতি বুঝে ওই তিন অঞ্চলেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
ঘটনা হল, করোনা মোকাবিলায় আগেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। সম্প্রতি টুইট করে রাজ্যবাসীকে সাবধান করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তারপর দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো পাঞ্জাবেও নাইট কার্ফু জারি করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিদিন রাত আটটা থেকে পরের দিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রাজ্যের কোনও প্রান্তের কোনও এলাকায় জটলা করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ওই রাজ্যে সব কোচিং সেন্টার, জিম, বার এবং সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘হোম ডেলিভারির জন্য প্রতি সপ্তাহের সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে। বিয়ে হোক বা শেষকৃত্য, রাজ্যের যে কোনও অনুষ্ঠানে ২০-এর বেশি মানুষ এক জায়গায় জড়ো হতে পারবেন না। রবিবার রাজ্যের সব মল, দোকান, বাজার বন্ধ থাকবে’।
তিনি এও বলেছেন যে , ‘যাঁরা বিমান, রেল বা সড়ক পথে অন্য রাজ্য বা দেশ থেকে পাঞ্জাবে পৌঁছবেন, তাদের কোভিড ১৯ টেস্ট রিপোর্ট লাগবে। টেস্ট রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টা আগেই করাতে হবে। তবেই তা গ্রহণযোগ্য হবে।’ পাশপাশি ওই রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ৪৫০ ও ৩০০ টাকার বিনিময়ে আরটিপিসিআর এবং রাপিড টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই মুহুর্তে পাঞ্জাবের যা পরিস্থিতি সেখানে সংক্রমণের ‘চেইন ব্রেক’ হওয়া দরকার। তাই অনেক বেশি মাত্রায় টিকাকরণ প্রয়োজনও আছে। পাঞ্জাববাসীকে মাস্ক বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আবেদন করছি।’